ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৬০

গরমে ভয়াবহ পরিস্থিতি, ডায়রিয়া হলে কী করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:২০ ৮ এপ্রিল ২০২২  

গরমের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ডায়রিয়া। ঢাকায় যা বেশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। তবে এবারে তা সময়ের আগেই শুরু হয়েছে। শুধু কলেরা হাসপাতাল বা আইসিডিডিআর.বি-তে   প্রতিদিন শত শত রোগী ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

 

উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়ার রোগী, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী ব্যক্তিই আক্রান্ত হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ডায়রিয়া হলে কিছু করণীয় উল্লেখ করেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

ডায়রিয়া শুরু হলে যা করবেন

* এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খাবেন।

* বড়দের (দশ বছরের বেশি) ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস (২৫০গ্রাম) পানিতে গুলিয়ে খাবেন।

 

* শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা হয়েছে আনুমানিত ততটুকু স্যালাইন খাওয়াবেন।

* শিশুর বমি হলে ধীরে ধীরে খাওয়ান, যেমন প্রতি তিন-চার মিনিট পর পর এক চা চামচ করে স্যালাইন খাইয়ে দিন।

 

* খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি দুই বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।

* ছয় মাসের অধিক বয়সী রোগী খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের খাবার খেতে পারবে। 

 

* রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন।

* রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের রস, আঙুর, বেদানা খাওয়াবেন না।

 

* ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে প্রতিদিন একটি করে জিংক ট্যাবলেট পানিতে গুলিয়ে দশ দিন খাওয়াবেন।

* এরপরও রোগীর উন্নতি না হলে বা খারাপ অবস্থা হলে দ্রুত কাছের হাসপাতাল/ স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

 

ডায়রিয়া থেকে বাঁচার উপায়

* পানি ফোটানোর সময় বলক ওঠার পর আরও পাঁচ মিনিট চুলায় রাখুন এবং ঠান্ডা করে পান করুন। পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি পানি-বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি নিরাপদ করে নেওয়া যেতে পারে।

 

* রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর উন্মুক্ত খাবার খাবেন না।

* খাবার আগে সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে বিশ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবেন।

 

* পায়খানা করার পর অথবা শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবেন।

* ফিডারে শিশুকে কিছু খাওয়াবেন না। যদি খাওয়াতেই হয় তবে তার আগে ফোটানো পানি ও বাসন পরিষ্কারের সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। ফিডারের নিপলের ছিদ্রটিও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।