ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৮১৪

ডায়াবেটিস মুক্ত থাকতে চান? নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৭ ৬ জানুয়ারি ২০২১  

ডায়াবেটিসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের আর ১০ জন মানুষের তুলনায় অ্যালজাইমারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। কারণ রেটিনা থেকে এ ধরনের সমস্যার আগাম ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। 


সাম্প্রতিক গবেষণায় এমনই জানা গেছে। জোসলিন ডায়াবেটিস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষায় সেসব বিপদের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। যা প্রথমদিকে ধরা পড়লে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।


বাংলাদেশে লাখো মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদেশের দরিদ্র আর্থ-সামাজিক অবস্থার জন্য অনেকের এ রোগ থাকলেও তা চিহ্নিত হয় না। এর প্রভাব আমাদের সারা শরীরে দেখা দেয়। বিশেষ করে চোখ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের সুস্থ থাকাটা অনেকটাই জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে। 


আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাজ করে থাকি। এটাই ডায়াবেটিস হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। অনেকেই ব্যাপারটার প্রতি সচেতন। যদিও এ রোগ আমাদের চোখের ঠিক কতটা ক্ষতি করে, সেটা সম্বন্ধে তেমন সচেতন নই। সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ দানের মধ্যে অন্যতম চোখ। ডায়াবেটিস চোখের রক্তনালীর ক্ষতি করে এবং এর ওপর মারাত্মক বাজে প্রভাব ফেলে।


শরীরের সবকটি অঙ্গর মধ্যে শুধু চোখের পরীক্ষা করলেই বোঝা যায়, আমাদের শরীরে ঠিক কতটা গভীরভাবে বাসা বেধেছে ডায়াবেটিস। চোখের একটি অংশ হলো রেটিনা। একটা ক্যামেরায় যে ফিল্ম থাকে, এটি ঠিক তেমনই। রেটিনার ওপরে যখন আলো এসে পড়ে, তখন আমরা আমাদের চোখের সামনের জিনিস দেখতে পাই। ডায়াবেটিস চোখের রেটিনার ক্ষতি করে।  ফলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয়।


যেকোনও রোগ প্রথমদিকে ধরা পড়লে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এক্ষেত্রে চোখের পরীক্ষা করা উচিত। রোগ কতটা থাবা বসিয়েছে তা বিচার করে চিকিৎসা শুরু হয়। সেটা দেখার জন্য রেটিনা সার্জনরা সাধারণত কয়েকটি পরীক্ষা করান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, চোখের স্ক্যান। 

 

লেজার থেরাপি, চোখের ইঞ্জেকশন বা স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে পানি জমা কমিয়ে দৃষ্টিশক্তি আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। এ রোগে চোখের সূক্ষ্ম রক্তজালিকা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ফলে চোখে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ভিট্রিও রেটিনাল সার্জনদের কাছে সবচেয়ে বেশি এ সমস্যাগুলো নিয়েই রোগীরা আসেন। এর মূল চিকিৎসা লেজার থেরাপি। যার নাম প্যান রেটিনাল ফটোকোয়াগুলেশন।


রোগীর কেন্দ্রীয় দৃষ্টিপথের আশপাশে যেসব কোষকলায় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়, সেগুলোকে লেজার রশ্মি দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এভাবে ভঙ্গুর ও লিক করতে থাকা রক্তজালিকাগুলোর বৃদ্ধি রোধ করাও সম্ভব। এ চিকিৎসা করে রোগের বাড়বাড়ন্ত রোধ করা সম্ভব। চোখে রক্তক্ষরণও প্রতিরোধ হয়।