ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭২১

দুর্নীতি রোধে সরকারি সেবা ডিজিটাল করা হচ্ছে : জয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪২ ১০ জুলাই ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দুর্নীতি রোধে সব সেবা ডিজিটাল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

বুধবার নগরীর আগারগাঁওয়ের বিআইসিসি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকারের সব সেবা ডিজিটাল করা হলে দুর্নীতির কোনও সুযোগ থাকবে না। ১ হাজার ৫শ’ সরকারি সেবার ৩শ’টি ইতোমধ্যে ডিজিটাল করা হয়েছে। বাকি সব সেবাকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলছে। সরকারের সব সেবা ডিজিটাল হতে থাকায় ক্রমান্বয়ে দুর্নীতিও কমে আসছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এতে সভাপতিত্ব করেন।

দেশকে এগিয়ে নিতে পুরোনো আইন ও নীতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা এখন বিশ্বায়নের যুগে বাস করছি। বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আমাদের অর্থনীতি আরো উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেরই সাধারণ ধারণা, দেশে কোনও বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ করার মানেই হলো তারা কেবল মুনাফাই অর্জন করবে। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলো কেবল মুনাফাই অর্জন করে না। তারা কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করে। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা উচিত।

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব দেশে যেকোনও বিদেশি কোম্পানি সহজেই বিনিয়োগ ও ব্যবসা করতে পারে, যা ওই সব দেশের অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করে। আমাদেরও এভাবেই কাজ করা উচিত।

জয় বলেন, কেবল সরকার সবকিছু করতে পারবে না। সবকিছু করতে চাইলে সেখানে সিস্টেম লস থাকবে। কিন্তু বেসরকারি খাতে সিস্টেম লস খুব একটা হয় না। এগিয়ে যেতে হলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগী হিসেবে না দেখে বরং তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, এটা সম্ভব হলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু এজন্য আমাদের আইন ও নীতির পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য টেলিকমিউনিকেশন নীতির পরিবর্তন করা হবে।

সজীব ওয়াজেদ আইসিটি খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন দিক তুলে ধরে বলেন, আইসিটি খাতে খুব স্বল্প সময়ে এতো দ্রুত উন্নয়ন খুব কম দেশই অর্জন করতে পেরেছে।

কর্মশালায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নতুন প্রজন্মকে মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে তাদের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ও আইসিটি বিভাগকে ডিজিটাল করতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।