ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০৬

মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট: র‌্যাব

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৪ ৮ জানুয়ারি ২০২০  

রাজধানীর কুর্মিটোলায় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার যুবক এর আগেও অনেক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তারা জানায়, সে মাদকাসক্ত এবং একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মজনু নামের ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে তার ছবি দেখানো হয়েছে। তিনি ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন।
মামলাটি ক্লুলেস ছিল উল্লেখ করে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মোবাইলসহ গতকাল আমরা খায়রুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল জানায়, এটি সে কিনেছে অরুণা নামে একজনের কাছ থেকে। এরপর অরুণার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, পরিচিত মজনু এই মোবাইল তার কাছে বিক্রি করেছে।
র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, অরুণার দেয়া তথ্য এবং ভিকটিমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী বুঝতে পারি উভয়েই একই ব্যক্তি। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমি নিজেও কথা বলেছি। ভিকটিম বলেছেন, পৃথিবীর সব চেহারা ভুলে যেতে পারি, এই লোককে ভুলব না।
র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ১০ বছর আগে সে ঢাকায় আসে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। মা জীবিত থাকলেও বর্তমানে গ্রামের বাড়ির সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। মজনুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির হাতিয়া উপজেলায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর একটি অজ্ঞাতনামা মামলা হয়। ঢাকার সব ব্যাটালিয়ন একযোগে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে বুধবার ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে শ্যাওড়া রেলক্রসিং থেকে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ভিকটিমের ব্যাগ, আসামির কাপড়, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গ্রেফতার মজনু রাজধানীর বিমানবন্দর ও শেওড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুর এবং হকার পেশার পাশাপাশি ছিনতাই ও চুরিসহ নানাবিধ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সে মাদকাসক্ত এবং একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ওই ধর্ষণের ঘটনার পর সে ভিকটিমের মোবাইলটি অরুনার কাছে বিক্রি করে আত্মগোপনের চলে যায়।

রোববার ৫ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন সোমবার সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।