ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১১২৫

মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:২১ ৩১ জুলাই ২০১৯  

সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা থেকে বেঁচে গিয়েও তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে স্বপরিবারে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রনি সরকার।
৩১ জুলাই বুধবার সকালে সেগুনবাগিচার ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমূখী সমবায় সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তদন্তপূর্বক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে রনি সরকার জানান, ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা দখল করতে স্থানীয় বি.এন.পির সন্ত্রাসী টিএন্ডটি মনির, রহিম, ভাড়াটিয়া  রবিন সর্দার মাদক ব্যবসায়ী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী সবুজের নির্দেশনায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সন্ত্রাসীরা  তার তেলিপাড়া এলাকার বাড়ীতে হামলা চালায়।  এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় বাসন থানায় একটি মামলা করেন। এর ২দিন পর মামলার ৮নম্বর আসামীর পিতা কাউন্টার হিসেবে তার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেন। যে মামলায় বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। 
তিনি জানান, সন্ত্রাসী সবুজ ও তার সহযোগীরা প্রায় ২বছর পূর্বে তার নির্মানাধীন বাড়ীতে দুইটি পিস্তল রেখে পুলিশ ডেকে তাকে গ্রেফতার করিয়ে দেয়। ওই সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। পরবর্তীতে গাজীপুরের সাবেক এসপি হারুন অর রশীদের নির্দেশনায় পুলিশি তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে এবং যথারীতি সবুজসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দেয়। বিষয়টি তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালীদের মদদে থাকায় তারা এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তাই সে বেশি বেপরোয়া হয়ে তাকে হত্যা করে তার ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

তিনি জানান, মাদক ব্যবসার কাজে বাধা দেয়ায়  স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মদদে সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মামলার একজন আসামীও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। বরং তাকে মামলা তুলে আপোষ মীমাংসা জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে । বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।