ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৪১

যেভাবে সামলাবেন মৃগী আক্রান্ত শিশুদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৯ ৩০ জানুয়ারি ২০২১  

চোখের সামনে সন্তানকে কষ্ট পেতে দেখা বাবা-মায়ের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যেসব সন্তানের মৃগী থাকে, তাদের বাবা মায়েরাও যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এটি একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ, যার ফলে খিঁচুনি হয়। আচমকা আচমকাই এর অ্যাটাক হতে পারে।


শিশুরাও মৃগীতে আত্রান্ত হয়। সেক্ষেত্রে সন্তানদের নিয়ে বাবা-মায়েরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তারা মনে করেন, আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর মতো তারা পড়াশোনা, খেলাধুলো বা স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। তাদের জীবন থামকে যাবে।


মৃগী মস্তিষ্কের একটি ভয়ঙ্কর অসুখ। আগে এই বিষয়ে মানুষ অনেকটাই কম বুঝতো। ঠিকমতো শিশুরা চিকিৎসা পেত না। কিন্তু এখন বাবা মায়েরা অনেক বেশি সচেতন। শিশুর মধ্যে মৃগীর লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। এর সঙ্গে লড়তে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তা জানা না থাকলে অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়তে হয়। ফলে বিপদের আশঙ্কাও বাড়ে। এখন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই অসুখকে চেনা ও তাকে জব্দ করার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে।


মৃগীর ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি একটা বড় লক্ষণ। তবে জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলেই যে মৃগী, তা কিন্তু নয়। খিঁচুনি যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, ঘন ঘন হয় এবং শরীরের কোনও একটি পাশে হতে থাকে, তা হলে এই অসুখ নিয়ে সচেতন হওয়ার কারণ অবশ্যই আছে।


লক্ষণ
• খিঁচুনি
• হাত ও পা কাঁপা
• শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া


• অচৈতন্য হয়ে পড়া
• নিশ্বাস নিতে সমস্যা
• অন্ত্র বা মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস
• হঠাৎ করে পড়ে যাওয়া ও সংজ্ঞা হারানো


• কিছুক্ষণের জন্য সাড়া না দেওয়া
• সংজ্ঞা ফেরার পরও ঘোরের মধ্যে থাকা
• চেতনা হ্রাসের সঙ্গে মাথা নুইয়ে পড়া
• খিঁচুনির সময় শিশুর ঠোঁট নীলচে হয়ে যেতে পারে। শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে। তন্দ্রাভাব দেখা দিতে পারে।


লড়াই
• এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রথম ও প্রাথমিক শর্ত হলো সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়ানো। অনেক সময় দেখা যায়, অসুখ নিয়ন্ত্রণে চলে এলে অনেকেই আর ওষুধ খাওয়ান না বা অনিয়মিত হয়ে ওঠে। এটা একেবারেই করা যাবে না।
• জ্বর যেন কোনওভাবেই বাড়তে না পারে। সর্বদা জ্বরের ওষুধ বাড়িতে মজুত রাখতে হবে। তা আসলে জলপট্টি দিয়ে প্রয়োজনে গা মাথায় পানি ঢেলে জ্বর নামানোর ব্যবস্থা করতে হবে।


• ঘুমে ঘাটতি হলে চলবে না।
• চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
• খিঁচুনি হলেই শিশুকে এক পাশ ফিরে শুইয়ে দিতে হবে। যাতে মুখের তরল শ্বাসনালীতে পৌঁছতে না পারে।