ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭৭৬

৬৫ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:২০ ১২ মে ২০১৯  

আবারও পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল।

এ নিয়ে মোট ৬৫ বারের মতো পেছালো চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।

 

রোববার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তা জমা দেয়নি মামলার তদন্ত সংস্থা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

 

ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আগামী ২৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরবর্তী দিন ঠিক করেন।

 

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান মেঘ।

 

হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই মো. নওশের আলম রোমানের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল ডিবির পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে।

 

৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। এরপর র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার হাত ঘুরে তদন্তভার আসে এএসপি শহিদারের কাছে।

 

এ মামলায় মোট আসামি ৮ জন। এরা হলো : রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল জামিনে বাইরে রয়েছেন।

গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদ।

 

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।

 

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর