বাঙালির মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১২:৫৩ ৭ জুন ২০১৯

আজ ৭ জুন, ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্যের শিকার বাঙালিদের ‘মুক্তির সনদ’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয়। হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় জাতি। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম।
পাকিস্তানি শাসন-শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা বিরোধী দলীয় এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ছয় দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে যেন এটি স্থান পায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। বরং তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ছয় দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়।
পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ছয় দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।
ছয় দফার মূল বক্তব্য ছিল :
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।
২. ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে শুধু দুটি বিষয়, প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক, এবং অপর সব বিষয় ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত রাজ্যসমূহের হাতে ন্যস্ত থাকবে।
৩. পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে সমগ্র পাকিস্তানের জন্য ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটিই মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, একটি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও দুটি আঞ্চলিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থাকবে। তবে এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পুঁজি যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে তার ব্যবস্থা সম্বলিত সুনির্দিষ্ট বিধি সংবিধানে সন্নিবিষ্ট করতে হবে।
৪. দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পৃথক হিসাব থাকবে এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা রাজ্যের হাতে থাকবে। তবে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা দুই অঞ্চল থেকে সমানভাবে কিংবা উভয়ের স্বীকৃত অন্য কোনো হারে আদায় করা হবে।
৫. দুই অংশের মধ্যে দেশীয় পণ্য বিনিময়ে কোনো শুল্ক ধার্য করা হবে না এবং রাজ্যগুলো যাতে যেকোন বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে সংবিধানে তার বিধান রাখতে হবে।
৬. প্রতিরক্ষায় পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে আধা-সামরিক রক্ষীবাহিনী গঠন, পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র কারখানা স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় নৌবাহিনীর সদর দফতর পূর্ব পাকিস্তানে স্থাপন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগ নেতারা সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ছয় দফাকে ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’ হিসেবে অভিহিত করেন। ৬ দফার পক্ষে জনমত সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা বাংলায় গণসংযোগ শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এ সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বারবার গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন।
১৯৬৬ সালের ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের এক জনসভায় ৭ জুন হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল ব্যাভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তেজগাঁওয়ে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামেল অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআর-এর গুলিতে শহীদ হন। একই দিন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যান ৬ জন শ্রমিক।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়। হাজার হাজার আন্দোলনকারী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গ্রেফতার হন। বহু জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬ দফাভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
প্রতি বছর ৭ জুনকে দলীয়ভাবে ৬ দফা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।
এর মধ্যে রয়েছে - সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে।
- স্বর্ণের সঙ্গে রুপার দামেও ভয়াবহ ধস
- ফেসবুকে ব্লু টিক পাওয়ার সহজ উপায়
- জায়েদ খানের ‘সুখী জীবন’ দেখে বিস্মিত জয়
- যে কারণে সুপার ওভারে মাঠে নামেননি রিশাদ
- ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বার্তা দেওয়ায় কি বরখাস্ত রিজওয়ান?
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
- জোবায়েদ হত্যার নেপথ্যে প্রেম, জানা গেল মূল হোতার নাম
- বেসরকারি হাসপাতালে নিয়োগ, পদ অনির্ধারিত
- সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি খলনায়ক ডন
- টুথব্রাশেই লুকিয়ে আছে লাখো জীবাণু!
- মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা জুলাই যোদ্ধা সংসদের
- বাজার কাঁপাতে আসছে শাওমির নতুন স্মার্টফোন
- জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে
- কিডনির জন্য পানির চেয়েও যা গুরুত্বপূর্ণ
- সোনাক্ষীর রেকর্ড: ১৬ মাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের
- পাকিস্তানের হামলায় তিন আফগান ক্রিকেটার নিহত
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, জায়গা পেল যারা
- মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ
- ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি কেন?
- টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য
- ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা বন্ধ করার ৭ উপায়
- রাকসু: রিজভী-টুকুসহ যারা ভিপি ছিলেন
- হানিফসহ ৪ জনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
- সাকিবের ঝোড়ো ইনিংসের পরও স্বপ্নভঙ্গ হলো মন্ট্রিয়েলের
- নিরাপত্তাহীনতায় সালমানের প্রেমিকা
- আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা? জানুন সহজ উপায়ে
- আসছে শীত, এসির যত্ন না নিলে বিপদ
- বাজার কাঁপাতে আসছে শাওমির নতুন স্মার্টফোন
- মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা জুলাই যোদ্ধা সংসদের
- কিডনির জন্য পানির চেয়েও যা গুরুত্বপূর্ণ
- ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি কেন?
- ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা বন্ধ করার ৭ উপায়
- পাকিস্তানের হামলায় তিন আফগান ক্রিকেটার নিহত
- রাকসু: রিজভী-টুকুসহ যারা ভিপি ছিলেন
- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
- জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা আছে
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, জায়গা পেল যারা
- সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি খলনায়ক ডন
- মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম
- টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ
- সোনাক্ষীর রেকর্ড: ১৬ মাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বার্তা দেওয়ায় কি বরখাস্ত রিজওয়ান?
- স্বর্ণের সঙ্গে রুপার দামেও ভয়াবহ ধস
- জোবায়েদ হত্যার নেপথ্যে প্রেম, জানা গেল মূল হোতার নাম
- বেসরকারি হাসপাতালে নিয়োগ, পদ অনির্ধারিত