ঢাকা, ০৮ অক্টোবর বুধবার, ২০২৫ || ২২ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
২৫

‘শাপলা’ চেয়ে ফের চিঠি দিলো এনসিপি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৫ ৭ অক্টোবর ২০২৫  

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া বিকল্প প্রতীক নিতে রাজি নয়। দলটি আবারও শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিতে চিঠি পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো চিঠির সঙ্গে এনসিপি শাপলা প্রতীকের সাতটি ভিন্ন নকশা সংযুক্ত করেছে। চিঠিতে শাপলাকে তফসিলভুক্ত করতে নির্বাচন পরিচালনা বিধি সংশোধনের দাবি করেছে দলটি।

 

এর আগে দেশকাল নিউজ ডটকমকে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা জানিয়েছেন, ইসি যে ৫০টি প্রতীকের তালিকা দিয়েছে, সেখান থেকে আমরা কোনও প্রতীক নেব না। আমরা শাপলা প্রতীকের দাবি পুনরায় করব এবং ইসির জবাব দেব।

 

২২ জুন এনসিপি নিবন্ধনের আবেদন করে এবং শাপলা প্রতীক চায়। তবে ৯ জুলাই ইসি জানিয়েছিল, শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটি জাতীয় প্রতীকের অংশ হিসেবে সংরক্ষিত।

 

ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনে দলগুলোকে অনুমোদিত প্রতীকের তালিকা থেকে প্রতীক নিতে হবে।

 

এনসিপির দাবি করে, জাতীয় প্রতীক একটি নকশা-যাতে শাপলা ছাড়াও ধানের শীষ, পাটপাতা ও তারা রয়েছে। অথচ ধানের শীষ ও পাটের মতো উপাদানগুলো আগে থেকেই রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। তাই শাপলাকে আলাদাভাবে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে আইনগত কোনও বাধা নেই।

 

তবে ধানের শীষ বিএনপি, তারা জেএসডি ও অন্যান্য দলের কাছে বরাদ্দ রয়েছে। তাই শাপলাকে আলাদা প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করার কোনও আইনি বাধা নেই।

 

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে একঠি চিঠির মাধ্যেমে ইসি জানায়, আবেদনের প্রথমে প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন চাওয়া হলেও পরে শুধু শাপলা বা সাদা/লাল শাপলা চাওয়া হয়। তবে বিধিমালা অনুযায়ী, অনুমোদিত তালিকায় শাপলা নেই। তাই বিকল্প প্রতীক না নিলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

 

ইসি বিকল্প হিসেবে এনসিপিকে ৫০টি প্রতীক তালিকা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আলমিরা, খাট, পিরিচ, বেগুন, মোরগ, কলম, বাঁশি, লাউ, চিংড়ি, থালা, বেলুন, ফুটবল, কলা, মোবাইল ফোন, সোফা, সুটকেস, হরিণ, হাঁস, হেলিকপ্টার ইত্যাদি।

 

অন্যদিকে, নাগরিক ঐক্য দলও তাদের পুরোনো প্রতীক ‘কেটলি’ বাদ দিয়ে শাপলা বা দোয়েল পাখি প্রতীক চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছে। তবে এই বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।

 

বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৫১টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরত এসেছে এবং আওয়ামী লীগের নিবন্ধন আপাতত স্থগিত রয়েছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ইসি এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নতুনভাবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।