ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২০৮

অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আসক্তি জন্মায় কেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:১৩ ২ মার্চ ২০২১  

রাস্তায় বেরোলেই তেলেভাজা, ফুচকা, চকোলেটের দোকানে আটকে যায় আপনার চোখ? সামলে রাখা যায় না নিজের খাদ্যরসকে। এমনটাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু এটাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। মাঝে মাঝে এমন হয় যে খুঁজে ঝাল খেতে খেতে মিষ্টি খাবার ইচ্ছে জাগে। কারণ আমরা ভাবি মিষ্টি খেয়ে নিলে ঝালভাব কমে যাবে। 

 

এরপর আবার মিষ্টি কিছু খেয়ে চলে ঝাল বা মশলাদার কিছু ভক্ষণ। এই ধারাটা চলতেই থাকে যতক্ষণ না আপনার পেট ও মন ভরছে। যেমন মদ বা ধূমপানে আসক্তি হয় তেমনই বিশেষ কোনো খাবারের প্রতিও হয় আসক্তি। তাই কম মশলাদার, স্বাদ কম, দেখতে ততটা লোভনীয় নয় এমন খাবার খাওয়ার মতো ক্ষমতা সবার থাকে না। 

 

তবে স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের কাছে আসক্তির চেয়ে বেশি জরুরি স্বাস্থ্য। দুই-একদিন ডাক্তারেরাও খাবারের ছক ভেঙে ফেলেন। আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষ খাবারের আসক্তি জন্ময়। তাই এই আসক্তিই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওজন কমাতে না পারারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই আসক্তি আপনি কমাতে পারেন সহজেই।

 

১. প্রচুর পানি পান করুন। এতে পেটও ভরে যাবে। তাই টুকটাক খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। অনেকের ক্ষেত্রে তেষ্টা পেলেই তারা ঠাণ্ডা পানীয় পান করেন। এটাই ভুল। তাই পানি খেয়ে নিজেকে এসবের থেকে দূরে রাখুন। আবার পানি পানের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিতে পারেন।

 

২. বাইরে বেরোলে চিউইং গাম কিনুন। সেটা চিবোতে গিয়ে অনেকটা সময় কেটে যাবে। আবার মুখের ব্যায়ামও হয়ে যাবে। খাওয়ার ইচ্ছেকে দমিত করবে এই চিউইং গাম।


৩. অনেক সময়ে খুব মানসিক চাপে থাকলে আমরা জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেলি। তাই আগে মন থেকে সরান স্ট্রেস। আবার ওজনের বৃদ্ধির জন্যেও স্ট্রেস খারাপ। নিজেকে হালকা রাখুন।


৪. খাবার গ্রহণের সময় নির্ধারণ করে ফেলুন। কখন কী খাবার খাবেন সেই তালিকা নিজেই বানান ও মেনে চলুন। দরকারে ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুন যাতে একটাও খাবার মিস না হয়ে যায়। এতে পেট ভরা থাকবে সবসময়। তাই বাড়তি খাবারের দরকার পড়বে না।