চট্টগ্রামে যারা জামানাত হারালেন!

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের বিজয়ী ১৬ জন ছাড়া প্রায় সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জন তাদের জামানত হারিয়েছেন। এ তালিকায় আছেন ২০–দলীয় জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী সমন্বয়ক অলি আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টি আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে। ১১৭ প্রার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফকে শূন্য ভোট দেখানো হয়। এছাড়া বাকি আসনগুলোর ভোট ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে।

জামানত হারানো বিএনপি জোটের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল আলম, চট্টগ্রাম-৪ আসনের আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের জসিম উদ্দিন সিকদার। চট্টগ্রাম-১৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান ২ লাখ ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। এলডিপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ পরাজিত হন ১ লাখ ৬৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এজেন্ট, সমর্থক, সাধারণ ভোটার কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এই প্রতিবাদে আমিও ভোটদানে বিরত ছিলাম। এটা প্রহসনের নির্বাচন।’

চট্টগ্রাম-১১ তে কোনোভাবে জামানত রক্ষা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর।

এছাড়া জামানত রক্ষা করতে পারা অপর ভাগ্যবানেরা হলেন চট্টগ্রাম-২ আজিম উল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম-৫ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম-৮ আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক ও চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম।