ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৯০

চালাতেন রিকশা, এখন তিনি কোটিপতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:০৯ ১০ মার্চ ২০২৩  

রোকসানা বেগম ও গোলজার আলী দম্পতি ভূমিহীন হওয়ায় বসবাস করতেন রংপুর নগরীর লালবাগ রেলওয়ে বস্তিতে। গোলজার আলী সংসারের খরচ যোগাতেন রিকশা চালিয়ে। অথচ ১৫ বছরের ব্যবধানে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছয়টি প্লটে কিনেছেন ৭০ শতক জমি। চারটি ব্যাংকে রেখেছেন ২২ লাখ টাকা।

 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রংপুর বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই দম্পতিকে মাদক বিক্রির মামলায় গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য উঠে আসে।

 

সম্পদ আয়ের বৈধ কোনো উৎস দেখাতে না পারায় এই দম্পতির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই দম্পতি নগরীর তাজহাট থানার আশরতপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম কুখ্যাত মাদক মাদক ব্যবসায়ী। তারা রিকশায় ফেরি করে মাদক ব্যবসা করে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। যেগুলোর আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে। এই মামলা রংপুর বিভাগে এটিই প্রথম। দেশে ২০টি মানি লন্ডারিং মামলার মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৪টি। এই চারটি মামলাই তার করা। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২টি, ঢাকায় ১টি ও রংপুরে ১টি।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগারী এলাকা থেকে হিরোইন পাচার করে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করতেন গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম। তাদের লক্ষ্য ছিল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ নগরীর বিভিন্ন বয়সী মানুষ। 

 

মাদক বিক্রি করে তারা ১৫ বছরের ব্যবধানে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। মাদক বিক্রির জন্য বিভিন্ন  সময়ে তাদের বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় দুটি ও কোতোয়ালি থানায় সাতটি মামলা করা হয়।

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন বলেন, রোকসানা ও গোলজারে বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে কিছু কাগজপত্র হাতে আসে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তারা কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪২ শতক জায়গার সন্ধান পেয়েছি।

 

তিনি বলেন, এ ছাড়াও তাদের দুটি বহুতল ভবনের ভিত্তি দেওয়া বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা এসব সম্পদ আয়ের কোনো বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেনি। সব মাদক বিক্রির টাকায় গড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।