ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৬৪

চোখ ওঠার লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:২৮ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

সারাদেশে চোখ ওঠার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এটি স্পর্শকাতর রোগ। যা চোখের কনজাংটিভার প্রদাহজনিত সমস্যা। বেশিরভাগ চোখ ওঠাই ভাইরাসজনিত। এ রোগ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচেও। কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে চোখের কোণায় পুঁজ জমতে পারে। সেই সঙ্গে সমস্যা জটিল হতে পারে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখের কনজাংটিভাইটিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। তবে অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা, সর্দি বা কোনো রাসায়নিক বা ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে এলে কনজাংটিভায় প্রদাহ হয়। পাশাপাশি চোখ লাল দেখায়। ভাইরাসজনিত চোখ ওঠায় পাতলা বর্ণহীন পানি পড়ে। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত হলে নিঃসরণটি ঘন এবং একটু হলদেটে হয়।

 

লক্ষণ

চোখ দিয়ে পানি ঝরা, লাল হওয়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষণ। চোখের কর্নিয়া আক্রান্ত হলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়। ফলে আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

 

যেভাবে এ রোগ ছড়ায়

প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। অশ্রু মুছতে গেলে তা হাতে আসে। পরে সেই হাত দিয়ে কোনো কিছু স্পর্শ করলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যেমন-কারো সঙ্গে করমর্দন, টিভি-এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহৃত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদিতে চলে আসে। এজন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে এসময় বাসায় থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়। তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখা হয়।

 

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার কোনো চিকিৎসা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কয়েক দিন পর তা এমনিতেই সেরে যায়। উপসর্গ দেখা দেয়ার পরবর্তী এক-দুই সপ্তাহ রোগী অন্যকে এ রোগ ছড়াতে পারেন। তাই এসময়ে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি—

 

  • চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা।
  • পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অপরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করা যাবে না।
  • এসময়ে কালো চশমা পরা যেতে পারে। এতে বাইরের ধুলা বালু বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

  • বাইরের পানি দিয়ে ঝাপটা দেওয়া যাবে না
  • চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে বরফ দেওয়া যেতে পারে
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খাওয়া উচিত
  • হাত না ধুয়ে যখন-তখন চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না
  • চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়াতে হবে

 

তবে কর্নিয়ায় প্রদাহ হলে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। এমনকি কর্নিয়া সংযোজনের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।