ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৩৩

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খান শসা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৫ ১ মার্চ ২০২১  

ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা। যাতে অনেকেই ভোগেন। প্ল্যান্ট ফুডস ফর হিউম্যান নিউট্রিশন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীরা শসা খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করেছেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। 


ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের। টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না। তাই খাদ্যতালিকায় এমন কিছু জিনিস রাখা যায়, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।


রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে শসা খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিনের ডায়েটে তা রাখলে সুগার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি ছাড়াও হজমের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে শসা। ইউএসডিএ অনুসারে, এতে ১০ ক্যালরি থাকে। এটি কেবল সালাদে নয়, স্যান্ডউইচে খাওয়া যেতে পারে। 


আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের কীভাবে ডায়েটে শসা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত-

 

শসা-চিনাবাদামের সালাদ
শসা ও চিনাবাদামের সালাদ খুব সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এই সালাদ খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না বরং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

শসার স্যুপ
শসাতে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শসা ও দইয়ের স্যুপ খুব সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।

 

শসার পাকোড়া
শসা পাকোড়া হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ কুঁচি মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এরপর ছাঁকা তেলে ভালো করে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শসার পকোড়া।

 

শসার রায়তা
প্রায় প্রতিটি বাড়িতে শসা রায়তা তৈরি হয়। এটি ছাড়া খাদ্য অসম্পূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। দইয়ের সঙ্গে শসা মিশিয়ে রায়তা খাওয়া যায়।

 

পালং
পালং শাকে বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট এবং ভিটামিন কে রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। পালং শাক সালাদ, স্যুপ এবং তরকারী হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

 

টমেটো
টমেটোতে কোনও স্টার্চ থাকে না এবং গ্লাইসেমিক সূচকও কম থাকে। এতে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া এ সবজিতে ক্যালোরিও কম। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি ভালো খাদ্য আইটেম। টমেটো সম্পর্কে সর্বোত্তম জিনিস হলো আপনি এগুলো কাঁচা এবং রান্না উভয় ফর্মেই খেতে পারেন।

 

ব্রোকলি
ব্রোকলিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে থাকে। এতে আয়রন, ফোলেট এবং ফাইবারও রয়েছে। এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।