ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৬৮

নাক বন্ধ, পানি পড়া, গলা-কানে ব্যথা, কাশি লেগেই থাকে, যা যা করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৫ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২  

ঠাণ্ডা পড়েছে। যদিও শহরে তার বিশেষ অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শহরতলিতে ঠাণ্ডা জাঁকিয়েই পড়েছে। ঠাণ্ডা লেগে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কানে ব্যথা, কাশি এসব লেগেই থাকে। আর শীতকালে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আর এই ঠাণ্ডার মধ্যে যদি নাক বসে যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগে।

 

নাক বন্ধ থাকলে ঠিকমতো শ্বাস নেওয়া যায় না। মুখ খুলে শ্বাস নিতে হয়। ফলে মুখ, গলা শুকিয়ে যায়। আর তাই শীতের শুরুতে এমন সমস্যা হলে নিজেকেই একটু সাবধানে থাকতে হবে। হাতের সামনে ওষুধ রাখুন। নাকের ড্রপ রাখুন। পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই সব ঘরোয়া প্রতিকারেও।

 

সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঠাণ্ডা লাগার সমস্যায় আদার মতো ভাল আর কিছুই লেই। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। সেই সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ঠাণ্ডা লাগলে মুখে আদা কুচি আর সামান্য লবণ মিশিয়ে ফেলে রাখুন। খেতে পারেন আদা, চা। দিনের মধ্যে অন্তত তিনবার এই চা খেলে নাক অনেকটাই ছেড়ে যায়।

 

মধুর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ এবং একাধিক ভিটামিন। এছাড়া মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নাক জ্বালা করলে, নাক দিয়ে পানি পড়লে, বুকে অতিরিক্ত পরিমাণ কম জমলে কাজে আসে মধু। শীতের দিনে রোজ সকালে ইষদুষ্ণ পানিতে মধু মিশিয়ে খান। এতে গলায় আরাম পাওয়া যায়। কফ-কাশিতেও খুব ভালো তা কাজ করে।

 

পেঁয়াজ সর্দি, কাশির সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও কফ জমলে বা বুকে কোনও সংক্রমণ হলেও সেক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় পেঁয়াজের রস। বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও কাজে লাগানো হয় পেঁয়াজকে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর তাই সর্দি হলে কাঁচা পেঁয়াজ খান। শুধু তাই নয়, কাঁচা পেঁয়াজের ঘ্রাণ নিলেও সমস্যার সমাধান হয়।

 

এছাড়াও স্টিম নিতে পারেন। এতে সবচাইতে ভালো কাজ হয়। আর এই ভেপারের মধ্যে পুদিনা পাতা ফেলে দিলে আরও ভালো। এতে যেমন কফ পরিষ্কার হয় তেমনই নাকও ছাড়ে। যাদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা রোজ স্টিম নিলে উপকার পাবেন। পুদিনার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিকের গুণ। ফলে আরও ভালো কাজ হয়।

 

সর্দি, কাশির সমস্যা হলে রাতের দিকেই নাক সবচেয়ে বেশি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ সোজা হয়ে ঘুমনোর ফলে মাথায় বেশি শ্লেষ্মা জমা হয়ে যায়। এতে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কষ্ট আরও বেশি হয়। এছাড়াও উঁচু বালিশে ঘুমোলে এই সমস্যার হাত থেকে খানিক রেহাই পাওয়া যায়।