ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২০৯

নৌকায় সিল মারা সেই ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৬:০৭ ১১ নভেম্বর ২০২৩  

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আজাদের বড় ভাই যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ইউপি সদস্য শাহানারা বেগম রুমি এ অভিযোগ করেন। 

 

আজাদ হোসেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ও দিঘলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। আজাদ ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। নৌকায় অনবরত সিল মারার ভিডিও ভাইরালের ঘটনার পর থেকেই মাসুদের বাসায় আজাদ আত্মগোপনে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

আজাদের বড় ভাই আলমগীর হোসেন নিজেকে পল্টন থানাধীন বায়তুল মোকাররম ইউনিট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মোবাইল রেখে আজাদ আত্মগোপনে চলে যায়। সে কোথায় ছিল, কীভাবে ছিল কিছুই জানা ছিল না। খবর পেয়েছি শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম তাকে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, আজাদ এখন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রয়েছে।

 

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। বাড়ি থেকে জানানো হয়েছে, আজাদ ভোরে আমাদের বাড়িতে আসে। পরে তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে- পুলিশ আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল।

 

মাসুদের বোন ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শাহানারা বেগম রুমি বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের মোবাইল নিয়ে গেছে। তারা আমাদেরকে মারধর করেছে। পরে আজাদকে তুলে নিয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করছেন না। তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো সাংবাদিকদের বলেন, আজাদকে আটক করা হয়েছে কিনা, তা আমার জানা নেই। এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। 

 

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ ব্যালট বইয়ে নৌকায় মার্কায় অনবরত সিল মারেন। এ ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপনির্বাচনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর