ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬২৯

প্রকৌশলী ড. মঈনুলকে নিয়ে চলছে দুদকের অনুসন্ধান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৬ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

গণপূর্ত অধিদফতরের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) । ১৭ ফেব্রুয়ারী)তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ঠিকাদার।

 

ইতোমধ্যে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের শুরুর দিকে মঈনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করা হয়েছিল। সম্পদবিবরণীও চাওয়া হয়েছে তার কাছে। এরপরও থেমে নেই মঈনুল ইসলামের অবৈধ কাজ ও দুর্নীতি।

 

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা গণপূর্ত জোন) ড. মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ-

১. চাকরি জীবনের শুরু থেকেই মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আছে। ১৫তম ব্যাচের সহকারী প্রকৌশলীরা ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর যোগদান করলেও মঈনুল ৯ মাস পর ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট চাকরিতে যোগ দেন।

 

২. ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে অনুপস্থিত ছিলেন। ৯ বছর ৮ মাস ২২ দিন অনুপস্থিত থাকায় মঈনুলকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য মন্ত্রণালয়ে আপিলের মাধ্যমে চাকরি ফিরে পান।

 

৩. গত বছরের ৫ জুন র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ কাজের টেন্ডার নিষ্পত্তির চেয়ারম্যান ছিলেন মঈনুল।

 

কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সকে র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভূমিকা রাখেন তিনি।

 

বিধি অনুযায়ী প্রকল্পের দরপত্র গণপূর্তের ঢাকা সার্কেল-৩ থেকে আহবান ও তৎকালীন ঢাকা গণপূর্ত জোন থেকে মূল্যায়ন দেয়ার কথা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গণপূর্তের সদর দপ্তর থেকে ওই টেন্ডার আহ্বান করে জি কে শামীমকে র্যাব সদর দপ্তরের কাজ পাইয়ে দেন মঈনুল। ৫৫০ কোটি টাকার কাজে সমান সমান অথবা কিছু কমে নেওয়ার কথা। কিন্তু ১০ শতাংশ বেশিতে জি কে শামীমকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৫ শতাংশ কমিশনের এ কাজ করেন।

 

৪. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ভবন নির্মাণে ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশিতে ঠিকাদারকে পাইয়ে দেন মঈনুল। ঠিকাদারের কাছ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কমিশন নেন।

 

৫. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য বালিশসহ ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির ঘটনায় মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আসিফ হোসেন ও সাজিন কন্সট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদাৎ হোসেনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

এ ঘটনায় ঠিকাদার আসিফ ও শাহাদাৎ এবং ১১ জন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত ১২ ডিসেম্বর মামলা হয়। মামলার আসামিরা সবাই মঈনুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ। মঈনুলের ভূমিকার আসামিরা ৩১ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ করতে পেরেছে।অভিযোগপত্রে গণপূর্ত অধিদফতরের এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়গুলো অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।