ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮০৬

প্রতিদিন একমুঠো ভুট্টা খেলেই ম্যাজিক!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৬ ১৮ অক্টোবর ২০২০  

অনেকেই ভুট্টা খেতে পছন্দ করেন। কেবল খেতেই ভালো তা নয়, এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১.৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ গ্রাম ক্যালরি থাকে। লেবুর রস ও হালকা লবণ-মরিচ দিয়ে ভুট্টাপোড়া খেতে বেশ লাগে। এটি খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর গুণের কারণে একে সুপারফুড বলা হয়।

 

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩-৪ দিন ভুট্টা খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়। কারণ, প্রাকৃতিক ফলটিতে ঠাসা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ইসহ নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান। সেই সঙ্গে আছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ উপকারি মিনারেল। এগুলো নানাভাবে শরীরের উপকারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে
ঋতুবদলের এসময়ে সর্দি-কাশি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু করোনা আবহে এটিই ত্রাসের কারণ। অবশ্য সর্দি-কাশি হলেই আপনি প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত তা নয়। তবে করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে যাওয়া কিংবা ডাক্তারের সন্ধান পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় কফ ও পিত্ত নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কাশি ও সর্দি থেকে রক্ষা করে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ভুট্টা খেলে দেহে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রতিদিনের ডায়েটে এ প্রাকৃতিক খাদ্যটি রাখতে ভুলবেন না।

 

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
ভুট্টায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন দেহে প্রবেশের পর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে চোখ সম্পর্কিত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যারা সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের প্রতিদিন এটি খাওয়া উচিত।

 

শরীর ও মস্তিষ্কে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
ভুট্টায় উপস্থিত ভিটামিন বি, থিয়ামিন ও নিয়াসিন ব্রেনের পাওয়ার বাড়ায়।  পাশাপাশি মস্তিষ্কের সেলের গ্রোথেও সহায়তা করে। এটি নিয়মিত খেলে ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, পুষ্টিকর উপাদানগুলো শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে। তাই রেগুলার ভুট্টা খেলে শরীর ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তা থাকে না।

 

কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমে
ভুট্টায় বিদ্যমান ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি শরীরে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। সেই সঙ্গে বদহজমের প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে।

 

অ্যানিমিয়া দূর করে
ভুট্টা শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে। একই সঙ্গে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ কমায়। এটি কোষের গঠনেও সাহায্য করে। তাই কখনও রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত হলে দেদারসে ভুট্টা খাবেন।

 

হেলদি ওয়েট
১০০ গ্রাম ভুট্টায় প্রায় ৩৪২ ক্যালরি থাকে। ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন  ডায়েটে ভুট্টা রাখতে পারেন। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেড এনার্জির ঘাটতি দূর করে শরীর চনমনে করে তোলে। কাজ শেষে ক্লান্তি ঘিরে ধরলে ভুট্টা খেতে খেতে বাড়ি ফিরবেন। দেখবেন নিমেষে তা দূর হয়ে যাবে।