ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২১৪

বাচ্চাদের আঙুল চোষা বন্ধ করতে যা যা করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৮ ২২ নভেম্বর ২০২২  

আঙুল চোষা প্রায় সব শিশুর ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ অভ্যাস। বাচ্চাদের বেশিরভাগ সময়ই আঙুল মুখে পুরে রাখতে দেখা যায়। বাচ্চাদের এই আঙুল চোষা নিয়ে সব বাবা-মা-ই অনেক সময় চিন্তিত হয়ে পড়েন। ভাবেন, বুঝি অভ্যাসটা তার চিরজীবন থেকেই যায়। অনেক শিশু অনেক বড় হয়েও আঙুল চোষে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের মুখে আঙুল দেওয়া কমাতে যা যা করবেন.

 

# শিশুর বয়স পাঁচ বছরের কম হলে ভালো উপায় হলো এটাকে উপেক্ষা করা। শিশু যদি শুধু মাঝেমধ্যে আঙুল চোষে এবং এটা তার দাঁত ও আঙুলের জন্য ক্ষতিকর না হয়, তাহলে কিছুই করার দরকার নেই। কিন্তু পাঁচ বছরের পরও যদি শিশু প্রবলভাবে আঙুল চুষতে থাকে, তাহলে দাঁত এবড়োখেবড়ো হওয়াসহ আরও নানা সমস্যার মুখে পড়তে পারে।

 

# খিদে পেলে অনেক বাচ্চা কাঁদে না, বরং আঙুল চোষে। তারা বুঝতে পারে না যে শুধু স্তনে দুধ থাকে। তারা ভাবে যে চুষলেই দুধ পাবে। তাই তারা দুধ খাবার জন্য আঙুল চোষার চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে এটা তাদের মায়েদের বোঝানোর উপায় যে তারা ক্ষুধার্ত। এ রকম পরিস্থিতিতে তাকে বুকের দুধ খাওয়ান। দেখুন দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে আঙুল চোষা বন্ধ করছে কি না।

 

# ঘুমানোর চেষ্টা করার সময় আপনার শিশুর নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করার প্রয়োজন হতে পারে। কখনও কখনও শিশু এত ক্লান্ত থাকে যে তার ঘুমাতে অসুবিধা হয়। সেই সময় আঙুল চুষে সে নিজেকে আরাম দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘুমানোর সময় এ ধরনের শিশুর পাশে মায়ের থাকা প্রয়োজন। নিরাপদ বোধ করলে এই শিশু আঙুল চোষা ছেড়ে দেবে।

 

# অলস বসে থাকা শিশুও আঙুল চুষতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিশুর হাতে খেলনা দিন। হাতের কাছে খেলনা থাকলে শিশু সেটাই আগে নিতে চাইবে এবং মুখ থেকে আঙুল বের করে ফেলবে। একটু বড় বয়সে শিশু আঙুল চুষলে সেই সময় তাকে ছবি আঁকা বা অন্য কোনো হাতের কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। অলস বসে থাকলেই তার মধ্যে আঙুল চোষার ইচ্ছা বাড়বে।

 

# যদি একটু বড় বয়সেও সন্তান আঙুল চোষার অভ্যাস ছাড়তে না পারে, তাহলে তাকে এর ফলে সে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে, সেই বিষয়ে বুঝিয়ে বলুন। নিজে বুঝতে শিখলে হয়তো নিজেই এই অভ্যাস থেকে সে বেরিয়ে আসবে।

 

তবে বিশেষজ্ঞের মতে, বেশিরভাগ সময় আঙুল চোষা তেমন গুরুতর কোনো সমস্যা নয়। যদি শিশু কোনো কারণে রেগে যায় বা উত্তেজিত হয়, তা হলে এটা তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে আবার কখনো কখনো যদি সে একঘেয়েমিতে ভোগে, তা হলে এটা তাকে উদ্দীপ্ত করে তোলে। আসলে আঙুল চোষাকে ঠিক কোনো অসুখের মধ্যে ফেলা যায় না।

 

এটা শিশুদের এক ধরনের আরামদায়ক অভ্যাস। তাই এই নিয়ে বাবা-মায়ের বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আঙুল চোষার সময় শিশুকে জোর করে তা বন্ধ করার জন্য বাধ্য করবেন না কিংবা বিকল্প হিসেবে কোনো চুষনি দেবেন না। শিশুর এই অভ্যাসটি অনেক সময় হতাশা ও নিরাপত্তাবোধের অভাব থেকে উত্‍সারিত তার মানসিক চাপ লাঘবের একটি পদ্ধতি।