মরিচের চারায় ঘুরছে ভাগ্যের চাকা
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৯:১৮ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
বগুড়ার মরিচের খ্যাতি দেশজুড়ে। কিন্তু দেশি মরিচের উৎপাদন বেশি না হওয়ায় কৃষকরা এখন হাইব্রিড মরিচ চাষে ঝুঁকছেন। লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় মরিচ ও সবজির চারা উৎপাদন করে জেলার শাহানগরের মানুষ এখন স্বাবলম্বী।
বিভিন্ন আমদানিকারক কোম্পানি ভারত থেকে হাইব্রিড বীজ আমদানি করে তুলে দিচ্ছে নার্সারি মালিকদের হাতে। শাহানগর পল্লীতে নার্সারিগুলোতে এ হাইব্রিড মরিচের চারা উৎপাদনে ব্যাপক কর্মযঞ্জ চলছে। এর চারা সংগ্রহ করতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সেখানে। প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে মরিচের চারা নিতে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সরব উপস্থিতি ঘটছে।
শাহানগরে ২০০০ সালে মরিচের চারা উৎপাদনের একটি নার্সারি ছিল। চারা উৎপাদন লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় এখন সেখানে গড়ে উঠেছে ২০০ থেকে ২৫০ নার্সারি। এসব থেকে প্রায় ৪ কোটি মরিচের চারা উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ করছে। এটি উৎপাদন করে নার্সারি মালিকরা বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এবার বৃষ্টিতে প্রায় ১ কোটি টাকার চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর উৎপাদনকারীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মরিচের বীজতলাগুলোর চারা রক্ষায় নানা রঙের পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। প্রতিবছর শাহানগর থেকে দেশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি জেলার কৃষক এবং ছোট-বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা চারা সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। শাহানগর ও আশেপাশের ২০০ নার্সারির মালিক ভারতীয় হাইব্রিড মরিচের বীজ জমিতে ফলিয়ে চারা উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন।
মরিচ ও সবজির চারার উৎপাদনের জন্য শাজাহানপুরে বেশ কিছু এলাকাজুড়ে চলছে বাপক কর্মযঞ্জ। শাহানগর নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানালেন, ২০০০ সালে প্রথম ভারত থেকে বিভিন্ন কোম্পানি আমদানিকৃত চারা দিয়ে হাইব্রিড মরিচের উৎপাদন শুরু করেন। লাভজনক ব্যবসা দেখে এলাকার অনেকে এ চারা উৎপাদনে এগিয়ে আসেন। ছোট-বড় প্রায় ২৫০টি নার্সারি মালিক মরিচের চারা উৎপাদন করে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে নার্সারিগুলোতে।
বৃহত্তর রংপুর ও বগুড়ার শ্রমিকরা নার্সারি পরিচর্য়া করে ভাগ্য বদলিয়েছেন। এ বছর শাহানগরে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে মরিচের বীজ বপন করা হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ কোটি চারা উৎপাদন হবে। এখন নার্সারি মালিকরা প্রতিটি চারা পাইকারি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ পয়সায়। দেশের অর্ধেক জেলার পাইকাররা সেই চারা প্রতিটি ১ টাকা করে বিক্রি করছেন। পাইকারি চারা নেয়ার জন্য শাহানগরে এলে তাদের নার্সারি মালিকরা থাকা –খাওয়া ও রাত যাপনের ব্যবস্থা করে থাকেন। তারা রাত যাপন করে চারা নিয়ে যমুনা নদী দিয়ে নৌপথে খুব ভোরে গন্তব্য স্থলের দিকে রওনা হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, চলতি বছর ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় চারা এবং মরিচের গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে দেশজুড়ে কাঁচামরিচের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভারত থেকে আমদানি করে কাঁচামরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
শাহানগরের মরিচের চারা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদনকারী নার্সারি মালিকদের অনেকে জানান, এ বছর বৃষ্টিতে প্রায় ১ কেটি টাকার চারা নষ্ট হয়েছে। এখন যে মরিচের চারা লাগানো হচ্ছে তা থেকে ফলন পেতে ১ মাস লাগবে। এ সময় পর বাজারও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে।
মরিচের চারা উৎপাদককারী কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি মরিচের চারা উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে (বীজ, সার, মজুরি, পলিথিন, কীটনাশক) প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক কেজি মরিচের বীজ কিনে থাকেন ৩০ হাজার টাকায়। বিঘাতে ৪ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। সবমিলিয়ে ১ মাস বয়স পর্য়ন্ত চারা উৎপাদনের পর তাদের এক তৃতীয়ংশ লাভ থাকে বলে জানান নার্সারি মালিক আব্দুল হামিদ।
তারা আরো জানান, বৃষ্টি হলে চারার দাম কমে যায়। গত বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তারা ভাল দাম পেয়েছেন। রোববার থেকে বগুড়ায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিটি মরিচের চারা (এক মাস বয়সের) ৮০ পয়সা থেকে ৬০ পয়সায় নেমে এসেছে। আবহাওয়া ভালো না থাকলে চারা পচে যাওয়ার শংকা থাকে। তাই নার্সারি মালিকরা বৃষ্টি আতংকে ভুগছেন।
- বাজার কাঁপাতে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক
- সাগরে নতুন লঘুচাপ, পাঁচ দিন বৃষ্টির আভাস
- নির্বাচনে জিতলে ‘দুই বাংলা’ এক করার ঘোষণা বিজেপি নেতার
- শাপলা কলি প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
- নাক ডাকা কমানোর সহজ কিছু টিপস
- শাকিব খান চমকের বড় উদাহরণ: চঞ্চল চৌধুরী
- প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারতের মেয়েরা
- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ভারতে তোপের মুখে কংগ্রেস নেতা
- আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না কোটি মানুষ:রয়টার্সকে হাসিনা
- ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে: ফখরুল
- ওজন কমবে ভাতের মাড়ে
- বিপিএল ফিক্সিং তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবির হাতে
- শাকিব নাকি দেব, কে বেশি মুডি? জানালেন ইধিকা
- বাজারে সাড়া ফেলেছে নতুন ট্যাবলেট কম্পিউটার
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘মন্থা’, সমুদ্রবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত
- মুহিব্বুল্লাহ পুলিশ হেফাজতে, জবানবন্দি দিতে রাজি
- সালমানের কোন বন্ধুকে বিয়ে করেন সামিরা
- আমি বিশ্বকাপে থাকতে চাই: মেসি
- নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরে যা ঘটে
- তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় অন্তর্বর্তী সরকার
- স্বর্ণ কেনা-বেচার সময় কি এখনই?
- বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ কর্মী নেবে জাপান
- বিসিবির চাকরি ছাড়লেন ফিটনেস কোচ
- সালমানের লাশ দেখে সোনিয়া যা ভাবেন
- দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কী হয়
- মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু
- তাকদির মানে কী? ইসলাম যা বলে
- আফগানিস্তান থেকে নারী সেজে পালিয়েছিলেন বিন লাদেন
- বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্ত করবে চার দেশ
- যারা আপনাকে অপছন্দ করে, তাদের সঙ্গে কেমন আচরন করবেন?
- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ভারতে তোপের মুখে কংগ্রেস নেতা
- বিসিবির চাকরি ছাড়লেন ফিটনেস কোচ
- বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ কর্মী নেবে জাপান
- সালমানের কোন বন্ধুকে বিয়ে করেন সামিরা
- বাজারে সাড়া ফেলেছে নতুন ট্যাবলেট কম্পিউটার
- স্বর্ণ কেনা-বেচার সময় কি এখনই?
- ওজন কমবে ভাতের মাড়ে
- ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে: ফখরুল
- দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কী হয়
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘মন্থা’, সমুদ্রবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত
- শাকিব নাকি দেব, কে বেশি মুডি? জানালেন ইধিকা
- বিপিএল ফিক্সিং তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবির হাতে
- আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না কোটি মানুষ:রয়টার্সকে হাসিনা
- সালমানের লাশ দেখে সোনিয়া যা ভাবেন
- আমি বিশ্বকাপে থাকতে চাই: মেসি
- নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরে যা ঘটে
- মুহিব্বুল্লাহ পুলিশ হেফাজতে, জবানবন্দি দিতে রাজি
- তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় অন্তর্বর্তী সরকার
- নাক ডাকা কমানোর সহজ কিছু টিপস
- প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারতের মেয়েরা

