ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৫ || ১ পৌষ ১৪৩২
good-food

শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৫১ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫  

শীত নামলেই শরীর কাঁপানো ঠান্ডা, আর সেই সঙ্গে গরম পানির গোসলের লোভ। ঠান্ডা সকাল বা সন্ধ্যায় লম্বা, ধোঁয়া ওঠা গোসল যেন এক ধরনের স্বস্তি। কিন্তু এই স্বস্তির আড়ালেই লুকিয়ে থাকে ত্বক ও চুলের ক্ষতির ফাঁদ। শীতকালে গোসলের কিছু অভ্যাস আছে, যার কিছু কিছু খুবই ভুল। চলুন জেনে নিই- শীতের গোসলে যে পাঁচটি ভুল একেবারেই করা উচিত নয়।

১. খুব বেশি গোসল করা

শীতে বাতাস এমনিতেই ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তার ওপর প্রতিদিন বা দিনে একাধিকবার গোসল করলে ত্বক আরও শুকিয়ে যায়। ফল—ফাটা চামড়া, চুলকানি, রুক্ষ চুল। চেষ্টা করুন একদিন পরপর গোসল করতে, আর গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার

শীতে গরম পানি স্বস্তিদায়ক হলেও খুব গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে নিয়ে যায়। এতে ত্বক হয় খসখসে ও শুষ্ক। হালকা কুসুম গরম পানিই সবচেয়ে ভালো—ত্বকও বাঁচবে, শরীরও আরাম পাবে।

৩. বারবার শ্যাম্পু করা

শীতে মাথার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই বেশি তেল তৈরি করে, যা চুলকে সুরক্ষা দেয়। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে এই তেল উঠে গিয়ে চুল হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ ও ভঙ্গুর। প্রতিদিন গোসল করলেও চুল শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন, শ্যাম্পু ব্যবহার করুন একদিন পরপর।

শ্যাম্পু ব্যবহার করুন একদিন পরপর।

৪. কন্ডিশনার দিতে ভুলে যাওয়া

শীতকালে চুলে  রুক্ষভাব ও জট পড়া খুব সাধারণ সমস্যা। কন্ডিশনার ব্যবহার না করলে সমস্যা আরও বাড়ে। গোসলের পর বা গোসলের সময় কন্ডিশনার কিংবা লিভ-অন কন্ডিশনার চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫. বার সাবান ব্যবহার করা

সাধারণ বার সাবান শীতের শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কড়া। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল তুলে নেয়। এর বদলে ময়েশ্চারাইজিং বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। লুফা দিয়ে হালকা করে ব্যবহার করলে মৃত চামড়াও দূর হবে।

শীতের গোসল মানেই কেবল গরম পানি নয়—সঠিক অভ্যাসই পারে ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে। একটু সচেতনতাই শীত জুড়ে আপনাকে দেবে আরাম আর স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।