ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৫ || ১ পৌষ ১৪৩২
good-food

বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট সরানোর আদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৬ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫  

দেশের বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেটের একটি ব্যাচ সরিয়ে নিতে নেসলে বাংলাদেশকে আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিশেষ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথী এ আদেশ দেন। সরকারি খাদ্য পরীক্ষাগারের ফল আমলে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেয়।

‘নিম্নমানের’ চকলেট সরবরাহের অভিযোগে গত ২৪ নভেম্বর মামলা করেন কামরুল হাসান। এতে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবে বিক্রমা ও পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানকে আসামি করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দেশে ‘নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত’ করার অভিযোগে নেসলে বাংলাদেশের ওই দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

কামরুল হাসান দেশকাল নিউজকে বলেছেন, ‘‘কিটক্যাটের ‘ফোর-ফিঙ্গার ওয়েফার’ চকলেটের ব্যাচটি ‘নিম্নমানের’ বলে চিহ্নিত হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ওই ‘নিম্নমানের’ চকলেটের একটি ব্যাচ সরানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।’’

তিনি বলেন, ‘‘আদালত আমার আবেদন মেনে নিয়েছে।’’ 

সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে চকলেট প্রত্যাহার করে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

কামরুল হাসান জানান, আদালতের নথি অনুযায়ী, নেসলে বাংলাদেশকে ‘৪৪৩৯৯১৩৯’ নম্বর ব্যাচের চকলেট প্রত্যাহার করে নিতে হবে, যার উৎপাদন নম্বর ‘৬২৯৪০০৩৫৩৯০৫৪’।

তিনি জানান, পরীক্ষারে ওই চকলেটের মান আগেই পরীক্ষা করা হয়েছিল।

মামলার অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মানদণ্ডে অনুমোদিত সর্বাধিক ১ শতাংশের বিপরীতে ওয়েফার বিস্কুটটিতে ২.৩২ শতাংশ অম্লতা (অ্যাসিডিটি) পাওয়া যায়। আবরণে ব্যবহৃত চকলেটে অনুমোদিত ১২ থেকে ১৪ শতাংশের পরিবর্তে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ দুধের কঠিন পদার্থ ছিল। একই পণ্যে দুধের ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, যা মানসম্মত পরিমাণ ২.৫ থেকে ৩.৫ শতাংশ সীমার বেশ নিচে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর