ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৫০৬

মিশরে হাজারো বছরের কফিন উত্তোলন, রহস্যের গন্ধ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৫ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

মিশরে প্রাচীন এক কবরস্থান থেকে আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে কবর দেয়া ২৭টি কফিন উত্তোলন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা এলাকার পবিত্র স্থানে এগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে সদ্য সন্ধান পাওয়া কূপের ভেতরে কফিনগুলো পাথরের তৈরি। 

 

মিশরীয় কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে ১৩টি কফিন তোলা হয়। পরে আরো ১৪টি কফিন মাটির নিচ থেকে উঠানো হয়েছে। এদেশে এত সংখ্যক কফিন এর আগে খুব কম তোলা হয়েছে।

 

কফিনগুলো কাঠের তৈরি, গায়ে নানা রঙ দিয়ে নকশা আঁকা রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে ছোট ছোট মমিও রয়েছে। এ সমাধিক্ষেত্রে তিন হাজার বছর ধরে মৃতদেহ কবর দেয়া হতো। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা।

 

মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে এসব কফিন পুরোপুরি বন্ধ। কবর দেয়ার পর এগুলো কখনো খোলা হয়নি। 

 

পুরাতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-আনানি কফিনগুলো পাওয়ার ঘোষণা দিতে বিলম্ব করেছেন। নিজে ওই কবরস্থানটি পরিদর্শন করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানান তিনি। 

 

প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৩৬ ফুট গভীরে নেমে এসব কফিন উপরে নিয়ে আসেন। তারা জানিয়েছেন, কাজটি সহজ ছিল না। সাক্কারা কবরস্থানে খননকাজ এখনো চলছে। এসব কফিনের বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

 

এসব কফিনে কবে, কাদের কবর দেয়া হয়েছে, কেন এগুলো খোলা হয়নি- এসব প্রশ্ন ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন তা ভেদ করার চেষ্টা করছেন।

 

মন্ত্রণালয় বলছে, ভবিষ্যতে কফিনগুলোর রহস্য ভেদ করার পর তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

 

একইসঙ্গে কূপের ভেতর থেকে পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোও খুব সুন্দর নকশা করে তৈরি, গায়ে রঙ করা। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে সাক্কারার স্টেপ পিরামিডের কাছে মমি করা কিছু প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিড়াল, কুমির, গোখরা সাপ ও পাখি।

 

কায়রো থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাক্কারা। প্রাচীন মিশরের রাজধানী মেমফিসের লোকজন এলাকাটিকে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করতো। পর্যটন শিল্প চাঙ্গা করতে দেশটিতে সম্প্রতি এ ধরনের পুরাকীর্তি খুঁজে বের করার ওপর জোর দিয়েছে।