ঢাকা, ০৯ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪০০

রোগ থেকে বাঁচতে রান্নায় খাবেন যে ৫ তেল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৩ ২৩ অক্টোবর ২০২০  

তেল ছাড়া রান্না করার কথা ভাবাই যায় না! যেকোনও খাবারের ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। খাদ্যের গুণমান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ উপাদান। বিশেষত বাংলাদেশে যেকোনও খাবার তৈরির আগে প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে রান্না শুরু হয়। এতে স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। 

 

তবে অনেকেই রান্নায় তেলের বদলে ঘি বা মাখন ব্যবহার করেন। তাই এ আর্টিকেলে কয়েকটি তেল সম্পর্কে বলব, যা ঘি-মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো বেশ স্বাস্থ্যকর। দেখে নিন সেগুলো কি কি…

 

সরিষার তেল 
যেকোনও রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা যায়। তবে তা হতে হবে অবশ্যই কাঠের ঘানিতে উৎপাদিত। এটি দিয়ে রান্না করা যেকোনও খাবার বেশ স্বাদ হয়। এ তেল স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ উপকারি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে সমৃদ্ধ। সরিষার তেল বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বক সুরক্ষিত রাখে। বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে। এটি ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। তাই যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে, তারা এ তেলে তৈরি খাবার বেশি খান। 

চিনাবাদাম তেল 
এতে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত বেশি, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল হ্রাস করে। এটি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হওয়ায় স্কিন কেয়ারের জন্য দুর্দান্ত বিকল্প। 

নারকেল তেল 
দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নারকেল তেল। এতে উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা আমাদের দেহে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এ তেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ভিটামিন ই এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। 

অলিভ অয়েল 
এখন আমরা অনেকেই রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করি। ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ সমৃদ্ধ এ তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি। অল্প পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং বাত ব্যথা থেকে স্বস্তি দেয়। 

সানফ্লাওয়ার অয়েল 
প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর সানফ্লাওয়ার অয়েলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। এছাড়া এটি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

 

উল্লেখ্য, এসব তেল অবশ্যই সঠিক প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হতে হবে। কাঠের ঘানিতে তৈরি হলে সবচেয়ে ভালো। পাশাপাশি ভেজালমুক্ত হতে হবে। কারণ, চটকদারি বিজ্ঞাপন দিয়ে নানা মোড়কে এগুলো বাজারে পাওয়া যায়। তাই বাজারজাত সেসব ক্ষতিকর তেল কেনা থেকে সাবধান। সঠিক মান যাচাই করে, তবেই কিনুন।