ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৮

লঞ্চ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:০৯ ১৩ এপ্রিল ২০২৪  

রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুতে দুই লঞ্চের পাঁচজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে স্বজনদের কাছে। ঘটনার পরদিন থেকে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের মাঝে ছিল আতঙ্কের ছাপ।

 

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কোলাহল দেখে বোঝার উপায় নেই ২ লঞ্চের যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতার বলি হয়েছিল ৫টি প্রাণ। পন্টুন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে রক্তের ছাপ। সরিয়ে নেয়া হয়েছে অভিযুক্ত লঞ্চ দুটি। নেই দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন। তবুও যাত্রা ঘিরে মানুষের মনে ভয় আর উৎকণ্ঠা।

 

এক যাত্রী বলেন, লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে মানুষ মারা যাবে কেন? এটাকে আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় না। আরেক যাত্রী বলেন, গতকালের দুর্ঘটনার জন্য সবার মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবু বাড়ি যেতে হবে। পরিবার নিয়ে লঞ্চেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

বৃহস্পতিবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আগে থেকেই পল্টুনে সারিবদ্ধভাবে বাধা ছিল লঞ্চ। জায়গা না থাকলেও তাশরিফ-৪ এর পাশ দিয়ে জোর করে প্রবেশ করছে ফারহান-৬। লঞ্চটির চাপে ছিঁড়ে যায় দড়ি। প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ওপর। এতেই ঘটে হতাহতের ঘটনা।

 

এই ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যা মামলায় দুটি লঞ্চের মাস্টার এবং ম্যানেজারসহ ৫ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে দায়ী কে বোঝা গেলেও তদন্তে উঠে আসবে সবকিছু।

 

তিনি বলেন, ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ এবং এমভি পূবালী-১ লঞ্চ বাঁধা ছিল। দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান ঢুকানো হয়। নিজ দায়িত্বেই এটা করেছে তারা। তাতে এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ফলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই পার্কিংয়ে আসতে পারবে না। আমাদের তা জানাতে হবে। তাহলে আমরা জায়গা করে দেবো। লঞ্চ বেঁধে রাখার রশিটা যাতে আরও শক্ত থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করা লাগবে।

 

লঞ্চের দড়ি ছেঁড়ার দৃশ্য আগে ঘটলেও হতাহতের ঘটনা এবারই প্রথম। যাত্রীরা বলছেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পরে দেখভাল আর সচেতনতা বৃদ্ধি না করে বছরব্যাপী নজরদারি চালালে হতাহতের ঘটনা কমে আসবে অনেকাংশে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর