ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৯৪

শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের রোগ-বালাই থেকে দূরে রাখবেন যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:১৪ ৬ জানুয়ারি ২০২৩  

ষড়ঋতুর এই দেশে বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়ার আকষ্মিক পরিবর্তনের সঙ্গে তরুণ বা মধ্যবয়সীরা খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও শিশু ও বয়স্কদের বেশ ভুগতে হয়। আর শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে এর প্রকোপটা বেশ গভীরভাবেই পরিলক্ষিত হয়। শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা বা শ্বাসনালীর প্রদাহ শিশু ও বয়স্কদের খুবই কমন। এছাড়া শীতে সাধারণ সর্দি, কাশি বা ফ্লু থেকে হতে পারে নিউমোনিয়া। তাই তাদের নেওয়া দরকার বিশেষ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

 

বয়স্কদের যত্ন  পুষ্টি 

  • ঠান্ডা আবহাওয়ায় বের হলে খুশখুশে কাশি বা গলাব্যথা হতে পারে। এর সহজ এবং দ্রুত প্রতিকার হলো-গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করা। এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গড়গড়া করা।

 

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার আমাদের গ্রহণ করতে হবে। যেমন গরম চা, গরম পানিতে আদা, মধু, লেবুর রস, তুলসি পাতার রস ইত্যাদি মিশিয়ে পান করা। এছাড়াও ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, কাঠবাদাম, গ্রিন টি, আনারস, আঙুর, ভুট্টা, লাল আটা, বাদাম তেল, জলপাই, উদ্ভিজ্জ তেল, ব্রকলি খেজুর ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। কারণ এসব খাবার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

 

  • ভিটামিন-সি জাতীয় ফলমূল শাকসবজি এই ঋতুতে গ্রহণ করুন কেননা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি কার্যকর।।আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে যে কোন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

 

  • সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় তবে সামান্য উষ্ণ গরম লবণ পানি নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে।

 

  • ঠান্ডা বেশি হলে কম পানি পান করতে হবে বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের হয়ে যাবে। আপনার গলা ভেজা থাকবে এবং এতে করে ব্যাকটেরিয়া চারপাশে ঘেষতে পারবেনা।সুতরাং সুস্থ থাকতে প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

  • শীতকালে এমনিতে মেটাবোলিজম কমে যায়। শীত আসলে বয়স্করা হাঁটাহাঁটি একেবারেই কমিয়ে দেন হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য হলেও শীতকালে নিজের হাঁটাহাঁটি ঠিক রাখতে হবে।

 

শিশুদের যত্ন  পুষ্টি

  • শীতের সময়টা শিশুদের খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তাদের ঘনঘন অল্প খাবারে বেশি পুষ্টি আছে এমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।নিয়মিত ডিমের,দুধ সহ সকল প্রোটিনজাতীয় খাবার, সবজির স্যুপ এবং ফলের রস খাওয়ানো উচিত। বিশেষ করে গাজর, বিট, টমেটো শিশুদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। শিশুরা এ সময় যেন কোনো ধরনের বাসি বা ঠাণ্ডা খাবার না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

 

  • এ সময় শিশুর প্রতিটি কাজে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ করানো,গোসল করানো থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত,এমনকি সবসময় কুসুম গরম পানি পান করানো উচিত।

 

  • শিশুকে গরম কাপড়ের পোশাক পরা উচিত।শিশুকে সরাসরি উলের পোশাক না পড়িয়ে আগে সুতি কাপড়ের পোশাক পড়িয়ে তার উপরে উলের পোশাক পড়ালে সেটি শিশুর জন্য বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

 

  • শিশুদের গামছা, রুমাল, তোয়ালে প্রভৃতি আলাদা হওয়া উচিত এবং কোনো ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সময় শিশুদের দূরে রাখা উচিত। শিশুদের স্কুলে অথবা বাইরে নিয়ে গেলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করার অভ্যাস করাতে হবে। শিশুর এ ধরনের সমস্যায় আদা লেবু চা, গরম পানিতে গড়গড়া, মধু, তুলসি পাতার রস প্রভৃতি খাওয়ানো যেতে পারে। তবে সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।