ঢাকা, ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার, ২০২৫ || ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
১০

আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা? জানুন সহজ উপায়ে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:০৯ ১৪ অক্টোবর ২০২৫  

আপনি হয়তো ভাবছেন, আপনার নামে নিবন্ধিত সিমগুলো শুধু আপনিই ব্যবহার করছেন। কিন্তু বাস্তবতা কি তাই? আপনার অজান্তেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে অন্য কেউ সিম তুলে নেয়নি তো? সেই সিম যদি কোনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়, তার দায় কিন্তু আপনার ওপরই বর্তাবে। ডিজিটাল এই যুগে নিজের পরিচয় সুরক্ষিত রাখতে এইটুকু সতর্কতা এখন সময়ের দাবি।

 

আজকের দিনে মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। আর এই ফোনের প্রাণ হলো সিম কার্ড। কল, বার্তা বা ইন্টারনেট—সবকিছুর জন্যই এটি অপরিহার্য। সিম নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক হওয়ায় এর অপব্যবহারের ঝুঁকিও বেড়েছে। এই সিম জালিয়াতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রুখতেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি এক গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সীমা ১৫টি থেকে কমিয়ে ১০টি করেছে। গত ১৫ আগস্ট থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

 

এখন প্রশ্ন হলো, আপনার এনআইডি ব্যবহার করে মোট কয়টি সিম চালু আছে, তা জানবেন কীভাবে? উপায়টি কিন্তু খুবই সহজ এবং আপনার হাতের মুঠোয়।

 

এই তথ্য জানতে আপনাকে কোনো জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। যেকোনো মোবাইল অপারেটর থেকে আপনার ফোনের ডায়াল প্যাডে গিয়ে ডায়াল করুন *১৬০০১#। কল বোতাম চাপার পর ফিরতি মেসেজে আপনার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। নির্দিষ্ট স্থানে সেই সংখ্যাটি লিখে পাঠিয়ে দিলেই ফিরতি এসএমএসে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে, আপনার নামে কোন কোন অপারেটরের মোট কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে। নিরাপত্তার স্বার্থে, এসএমএসে সিম নম্বরগুলোর পুরোটা দেখানো হয় না, কেবল শুরু ও শেষের কয়েকটি ডিজিট দেখা যায়, যা দেখে আপনি সহজেই নিজের ব্যবহৃত সিমগুলো শনাক্ত করতে পারবেন।

 

তালিকা যাচাই করার পর যদি দেখেন কোনো সিম আপনার নামে নিবন্ধিত কিন্তু আপনি সেটি ব্যবহার করেন না বা চিনতে পারছেন না, তাহলে দেরি না করে সেটি নিষ্ক্রিয় করুন। এর জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

 

যাদের নামে ইতোমধ্যে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, বিটিআরসি তাদের তালিকা অপারেটরদের কাছে পাঠাবে। অপারেটরগুলো গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পছন্দের ১০টি সিম চালু রাখার সুযোগ দেবে। এক্ষেত্রে, যেসব সিমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) চালু আছে এবং যেগুলো থেকে নিয়মিত কল বা ডেটা ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

 

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, যার বিপরীতে প্রকৃত গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামেই ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে।

 

প্রযুক্তির এই যুগে একটু অসচেতনতাই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। তাই সিমের অপব্যবহার বা জালিয়াতির ফাঁদে পড়ার আগেই নিজের নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জেনে নিন। নিয়মিত যাচাই করুন এবং অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করে আপনার পরিচয়কে নিরাপদ রাখুন।