ঢাকা, ১২ অক্টোবর রোববার, ২০২৫ || ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৪০ ১২ অক্টোবর ২০২৫  

ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা থেকে খুলনা-চট্টগ্রামের মাঝারি শহরগুলোতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা ইভি (ইলেকট্রিক গাড়ি) এখন ধীরে ধীরে জীবনে জায়গা করে নিচ্ছে। গাড়িগুলো পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেক গাড়িপ্রেমীরা আগ্রহ নিয়ে এটি কিনছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করান, শুধু ফুয়েল খরচ কমবে ভেবে গাড়ি কেনা ঠিক নয়। ইভি মানে নতুন প্রযুক্তি, তাই কয়েকটা বিষয় আগে বোঝা জরুরি।

 

রেঞ্জ: এক চার্জে কতদূর যাবে?

ইভির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একবার চার্জে কতদূর যেতে পারবে। শহরের রুটে সাধারণত ২০০–৩০০ কিলোমিটার রেঞ্জের গাড়ি যথেষ্ট, তবে দীর্ঘ যাত্রার জন্য অন্তত ৪০০–৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ থাকা ভালো। মনে রাখতে হবে, গাড়ি ড্রাইভিং, এয়ার কন্ডিশনিং বা রাস্তার খারাপ অবস্থা রেঞ্জ কমিয়ে দিতে পারে।

 

চার্জিং সুবিধা: বাড়ি নাকি স্টেশন?

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো বড় শহরে কিছু চার্জিং স্টেশন থাকলেও দেশের সব রুটে এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তাই অনেকে বাড়িতেই চার্জার বসাচ্ছেন। যা বিদ্যুৎ সংযোগ এবং খরচের ওপর নির্ভরশীল। যদি গাড়িতে দ্রুত চার্জিং সুবিধা থাকে, তবে সময়ও বাঁচে।

 

দাম, কর ও প্রণোদনা: খরচের হিসাব রাখুন

বাংলাদেশে ইভি আমদানি কম শুল্কে হয়, প্রণোদনাও আছে। কিন্তু গাড়ির মূল দামের সঙ্গে চার্জার স্থাপন, ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিবর্তনের খরচও যোগ করতে হবে। শুধু গাড়ির দামে খুশি হয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

 

রক্ষণাবেক্ষণ: ইঞ্জিন কম, কিন্তু ব্যাটারি বড় খরচ

বাংলাদেশে ইভি আমদানি করার সময় সাধারণত কম শুল্ক বা প্রণোদনা থাকে। তবে শুধু দাম নয়—চার্জার বসানো, ব্যাটারি বদল আর রক্ষণাবেক্ষণের খরচও মাথায় রাখতে হবে। এটাতে গিয়ার বা ইঞ্জিন না থাকায় মেরামত তুলনামূলক সস্তা, কিন্তু ব্যাটারি নষ্ট হলে খরচ অনেক। তাছাড়া, দক্ষ মেকানিক ও যন্ত্রাংশও এখনো সীমিত।

 

রিসেল ও ভবিষ্যৎ: প্রযুক্তি দ্রুত বদলায়

প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই পুরোনো মডেলের ইভি বিক্রি করা সহজ নাও হতে পারে। তাছাড়া ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার বা রিসাইক্লিংয়ের সুযোগ এখনও সীমিত। তাই ক্রেতাদের আগে থেকে ভাবা উচিত, গাড়ি শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতের হিসাবেও উপযুক্ত কিনা।

 

সচেতনভাবে, পরিকল্পনা করে কিনলে ইভি কেনা ভবিষ্যতের জন্য স্মার্ট সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে ড্রাইভিং রেঞ্জ, চার্জিং সুবিধা, খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভবিষ্যতের ব্যবস্থাপনা এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখলে আপনি যেমন সাশ্রয়ী হবেন, তেমনি পরিবেশও উপকৃত হবে।