ঢাকা, ০৮ অক্টোবর বুধবার, ২০২৫ || ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

সব ধরনের ক্রিকেট বয়কট ক্লাব সংগঠকদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:১২ ৮ অক্টোবর ২০২৫  

নির্বাচনের আগেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকার ক্লাব সংগঠকেরা। তবে সেই হুঁশিয়ার আমলে নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তফসিল মেনেই গত ৬ অক্টোবর হয়ে যায় বিসিবির নির্বাচন। 

 

তবে নির্বাচন শেষের দুই দিনের মাথায় দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাব সংগঠকেরা। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর পক্ষে এই ঘোষণা দেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান।

 

আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট লিগেও তারা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে নব নির্বাচিত বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান। 

 

মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে ৬ তারিখের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা দেশে অনেক রকমের নির্বাচন দেখেছি। আগে রাতের ভোট দেখেছি, দিনের ভোট দেখেছি, কারচুপি দেখেছি। সেসব কিছু ছাপিয়ে গেছে গত ৬ তারিখের নির্বাচন।”

 

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর আরও বলেছেন, “আপনারা সাংবাদিকেরা দেখেছেন, কী হয়েছে নির্বাচনে। তাদের হয়ত আমাদের প্রয়োজন নেই। কাজেই সামনে ফেডারেশন ক্রিকেট লিগ আছে, সেখান থেকে যাবতীয় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ আছে, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার ডিভিশন—আমরা যে সব ক্লাবে আছি, ভেবেছিলাম অংশ নেব। আজ থেকে আমরা বলতে চাই, ক্রিকেটের সৌন্দর্য হারিয়েছে। আপনারা যদি এভাবে চলতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না।” 

 

“জেলাতেও তাই হবে। এখানে জেলা প্রতিনিধি আছেন প্রতিনিধি আছেন। আমরা জেলা পর্যায় থেকেও ক্রিকেট বর্জন করব। যেকোনোভাবেই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন, কাউকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয়…আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি”, যোগ করেন মাসুদুজ্জামান। 

 

৬ অক্টোবর নির্বাচনের পর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, ক্লাবকর্তাদের ফেরাতে আলোচনা করবেন। তাদের কাছে যাবেন। তবে কোনো আলোচনাতেই ক্লাবগুলো সায় দেবে না বলে জানিয়েছেন মাসুদুজ্জামান, “এখানে আলোচনার কিছু নাই। আমরা নির্বাচনটাই মানছি না। উনি (বুলবুল) অবৈধ হয়েছেন। আমাদের হিসেবে তিনি অবৈধ।”

 

নির্বাচনের আগেও সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা। গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন পেছানোসহ তিনটি দাবি করেছিল তারা। একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছিল ঢাকার ক্লাবগুলো।  তবে সবকিছু ছাপিয়ে তফসিল অনুসারেই যথাযথ সময়ে হয়ে যায় নির্বাচন। তারই ভিত্তিতে বিক্ষুব্ধ ক্লাব সংগঠকেরা।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর