চা দোকানির ছেলে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২২:০৬ ৩০ এপ্রিল ২০১৯

২০১৪ সালের ২৬ মে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে এক ইতিহাস রচিত হয়। ওই দিন নরেন্দ্র মোদী ভারতের মানুষের কাছ থেকে এক ঐতিহাসিক জনাদেশ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তার মধ্যে দেশটির মানুষ একজন প্রাণবন্ত, স্থিরমতি ও উন্নয়নমুখী নেতাকে দেখেন। যিনি শতকোটি ভারতীয়র আশা-আকাঙ্খা রূপায়ণে এক আলোর প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হন। উন্নয়নের ওপর জোর, খুঁটিনাটি বিষয়ে নজরদারি ও দরিদ্রদের মধ্যে দরিদ্রতম মানুষদের জীবনে গুণগত পরিবর্তনে তার উদ্যোগ তাকে একজন জনপ্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন নেতা হিসেবে দেশে সর্বত্র প্রতিষ্ঠা দেয়।
মোদীর জীবন যেন সাহস, করুণা ও নিরবচ্ছিন্ন কঠোর পরিশ্রমের এক অভিযাত্রা। খুব কম বয়সে তিনি মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূল স্তরের কর্মী, সংগঠক এবং নিজ রাজ্য গুজরাটের ১৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীত্বের কার্যকালের মেয়াদে প্রশাসক হিসেবে দক্ষতা তুলে ধরেন। মানুষের জন্য ও সুপ্রশাসনের জন্য কাজের মধ্য দিয়ে এক অসাধারণ পরিবর্তনসাধন করেন তিনি।
চরিত্র গঠনের সময়
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের আগে মোদীর অনুপ্রেরণাময় জীবনের শুরু হয় উত্তর গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাদনগর নামের এক ছোট শহরের অলিগলিতে। ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তার জন্ম হয়। তার ঠিক তিন বছর আগেই ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। এজন্য তিনি স্বাধীন ভারতে জন্মানো প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হন। দামোদরদাস মোদী ও হীরাবাঈ মোদীর তৃতীয় সন্তান। অত্যন্ত দরিদ্র এক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাদের পুরো পরিবার ৪০ ফুট X ১২ ফুট একটি একতলা বাড়িতে থাকতেন।
নরেন্দ্র মোদীর চরিত্র গঠনের প্রথমদিকের বছরগুলো কঠোরতার শিক্ষা পান। একইসঙ্গে, পড়াশোনা এবং অবসর সময়ের মধ্যে সমতা বিধান করে পারিবারিক চায়ের দোকানে সময় দিতেন। কারণ, বাবা-মা জীবিকা নির্বাহের জন্য এই কাজ করতেন। তার স্কুলের বন্ধুদের স্মৃতিচারণে জানা যায়, বালক বয়সে তিনি ছিলেন পরিশ্রমী, বিতর্কের প্রতি তার ঝোঁক এবং নতুন নতুন বই পড়ার ভীষণ আগ্রহ ছিল। স্কুলের বন্ধুরা জানিয়েছেন, কিভাবে শ্রী মোদী স্থানীয় গ্রন্থাগারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশুনা করতেন। সেই বয়সে সাঁতার কাটতেও ভালোবাসতেন।
শিশু বয়সে শ্রী মোদীর চিন্তাভাবনা এবং স্বপ্ন সমবয়সী অন্যান্যদের তুলনায় ছিল অনেকটাই আলাদা। হয়তো তার চরিত্রে বহু শত বছর আগে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের কেন্দ্র হিসেবে ভাদনগরের প্রভাব পড়েছিল। বাল্য বয়সেই মনে সমাজে পরিবর্তন আনার এক স্পৃহা অনুভব করতেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের কাজে বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। স্বামীজির প্রভাবেই তার ভাবজগতের অভিযাত্রা শুরু হয়। এটি তাকে ভারত’কে জগতের শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিণত করার স্বামীজির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়।
১৭ বছর বয়সে মোদী বাড়ি ছেড়ে ভারত পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েন। দু’বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে বৈচিত্র্যময় ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন। বাড়ি ফিরে আসার পর এক পরিবর্তিত মানুষে পরিণত হন। যে মানুষটি জীবনে যা অর্জন করতে চান এর একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য তৈরি হয়। আহমেদাবাদে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আর.এস.এস.) ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে কর্মরত এক সমাজ-সংস্কৃতিমূলক এক সংগঠন। ১৯৭২ সালে আহমেদাবাদে গিয়ে আর.এস.এস. – এর প্রচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন জীবন ছিল কঠোর পরিশ্রমের। তার দিন শুরু হতো ভোর ৫টায় এবং গভীর রাত্রে তা শেষ হতো। ৭০ – এর দশকের শেষের দিকে যুবক মোদী জরুরি অবস্থায় বিপর্যস্ত ভারতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যোগ দেন।
৮০-এর দশকে সঙ্ঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে একজন আদর্শ সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। ১৯৮৭ সালে গুজরাটে বি.জে.পি.’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। নতুন দায়িত্বে প্রথম কাজ ছিল আহমেদাবাদ নগর নিগমের নির্বাচনে বি.জে.পি.’র প্রথম জয়লাভ নিশ্চিত করা। এছাড়া ১৯৯০ সালে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে বি.জে.পি. যাতে কংগ্রেসের পরেই দ্বিতীয় স্থান দখল করে তাও তিনি নিশ্চিত করেন। ১৯৯৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শ্রী মোদীর সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে বি.জে.পি.’র জনসমর্থন বৃদ্ধি পায়। এই বিধানসভা নির্বাচনে বি.জে.পি. ১২১টি আসন লাভ করে।
১৯৯৫ সাল থেকে মোদী বি.জে.পি.’র জাতীয় পর্যায়ের সম্পাদক হিসেবে হরিয়ানা এবং হিমাচলপ্রদেশের সাংগঠনিক দায়িত্ব পান। বি.জে.পি.’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে বি.জে.পি.’র জয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যান। ২০০১ – এর সেপ্টেম্বর মাসে মোদী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রী বাজেপেয়ীর কাছ থেকে একটি ফোন পান। তার পর থেকেই তার জীবনে নতুন আরেকটি অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই পর্যায়ে সাংগঠনিক রাজনীতির কঠিন এবং কঠোর পথ থেকে প্রশাসনে যোগ দেন।
প্রশাসকের দায়িত্ব
বি.জে.পি.’র সংগঠনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি থেকে দেশের অন্যতম সুপ্রশাসক হিসেবে স্বীকৃতি পান। এক দশকে নরেন্দ্র মোদীর উত্থানে লুকিয়ে আছে সহজাত দৃঢ়তা এবং প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রদানের এক অসাধারণ কাহিনী। রাজনৈতিক সংগঠন থেকে প্রশাসনিক জীবনে কর্মপরিবর্তনে সময় বা প্রশিক্ষণের কোনও সুযোগ পাননি। প্রশাসনিক জীবনের প্রথমদিন থেকেই মোদীকে কাজের মধ্য দিয়েই প্রশাসনের রীতিনীতির বিষয়ে শিক্ষা নিতে হয়েছে। প্রশাসক হিসেবে কাজের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনেই মোদী দেখিয়েছেন কিভাবে তার মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে। শুধু তাই নয়, এই ১০০ দিনের কাজের সময়কালে এও দেখিয়েছেন কিভাবে বাঁধা গতের বাইরে গিয়ে স্থিতিশীলতার পরিবর্তন করতে হয় এবং প্রশাসনিক সংস্কার করতে হয়।
উন্নয়ন ও সুপ্রশাসনের উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে জাগ্রত গুজরাট সৃষ্টি করতে মোদীর রাস্তা মোটেই সহজ ছিল না। এই রাস্তা ছিল প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জে ভরা। গত এক দশক ধরে মোদীর চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যটি অপরিবর্তিত থেকেছে, তা হল – প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও তার নেতৃত্বদানের শক্তি। সুপ্রশাসনের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে সবসময় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে চেয়েছেন। উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কাজে কখনই রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে প্রতিবন্ধক হতে দেননি। যখন শ্রী মোদী ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেন তখনও প্রশাসন এবং সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তার মধ্যে মিলিয়ে দেবার চিন্তাভাবনা কাজ করে।
‘ন্যূনতম সরকার, সর্বাধিক সরকারি পরিচালনামূলক কাজ’ – শ্রী মোদীর এই দর্শনের সবচেয়ে সুন্দর নিদর্শন হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ সুপ্রশাসনের জন্য তার ‘পঞ্চ – অম্রুত’ সংগঠন ভাবনা।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছ থেকে যেসব পুরষ্কার পেয়েছেনেএসবের মধ্যেই তার কাজের স্বীকৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।
- এসএসসির ফল প্রস্তুত, শিগগিরই প্রকাশ
- এবার নিজের নামে সুগন্ধি আনলেন ট্রাম্প
- রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব-মাশরাফির মতো আমিও ভুল করেছি’
- সন্তান স্মার্টফোনে বুঁদ, নেশা কাটাতে যা করবেন
- জায়েদ খানের সঙ্গী তানজিন তিশা
- এক ইনিংসেই গিলের ৫ রেকর্ড
- সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় রিমান্ডে
- ‘তোমার এক নাম্বার স্বামী কেমন আছে’, ফারিণকে প্রশ্ন নিশোর
- কেন খাদ্যতালিকায় রাখবেন চিচিঙ্গা ও ঝিঙা
- একাধিক জনবল নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, বেতন ছাড়াও দেবে নানা সুযোগ-সুবিধা
- ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’, সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- চাকরি হারালেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি
- সাড়ে ৯ কোটি চাকরি খেয়ে নেবে এআই, এড়াতে পারবেন কারা?
- ফুটবলে নতুন ইতিহাস, এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের নারীরা
- যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত
- বন্ধ হয়ে গেল আইফেল টাওয়ার
- ফুসফুস পরিষ্কার রাখে যে ৫ প্রাকৃতিক উপাদান
- দায় স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
- শাকিব খানের আগে ‘মেগাস্টার’ শব্দটা কানে লাগে: জাহিদ হাসান
- ‘ভয়ংকর’ মোস্তাফিজকে নিয়ে পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে শ্রীলঙ্কার
- ৮ হাজার পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু
- আমরা ফুল গিয়ারে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: সিইসি
- দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের কথা ভাসছে
- পেঁপে না কলা, ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর
- আমি আছি, মরি নাই রে ভাই: মাহিয়া মাহি
- ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল, থাকছে নতুন দল
- আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ: যা যা করা যাবে না
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- এবার ৫০ মিনিট আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে সেই আনিসা
- গোপনে সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সাকিব!
- আওয়ামী লীগ আমলের তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি
- ইরানের পরমাণু স্থাপনায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ভরা পেটে এলাচ খেলে এত উপকার
- ফের ইরানে আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলার হুমকি খামেনির
- অঙ্কুরিত আলু, পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া কি ঠিক?
- দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ত্রিপক্ষীয় জোট গঠনের কথা ভাসছে
- যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত
- ডায়াবেটিসসহ যত রোগের মহৌষধ তেলাকুচা
- হারিয়ে যেতে বসেছে ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দর পেশা
- এবার ৫০ মিনিট আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে সেই আনিসা
- সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটার
- একের পর এক ভাঙার কারণ জানালেন শ্রাবন্তী
- রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো
- ভুলবশত একটি ম্যাগাজিন ব্যাগে ছিল: উপদেষ্টা আসিফ
- হেরোইনের চেয়ে ৫০০ গুণ শক্তিশালী ও বিপজ্জনক: কী এই নতুন মাদক
- আমি আছি, মরি নাই রে ভাই: মাহিয়া মাহি
- ‘কালো জাদু’তে বিশ্বাস করেন কাজল
- ব্ল্যাক কফি পানে মিলবে জাদুকরী ১০ উপকারিতা
- বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ