ঢাকা, ০৮ অক্টোবর বুধবার, ২০২৫ || ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
good-food

জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কীভাবে মানিয়ে নেবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:০৭ ৮ অক্টোবর ২০২৫  

বাজারে ঢুকলেই এখন যেন বুক ধড়ফড় করে। এক ঝুড়ি সবজি, এক কেজি চাল বা এক লিটার তেল-সবকিছুর দাম আগের চেয়ে বেশি।সমস্যা হচ্ছে, আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ বেড়েই চলেছে। ফলে অনেক পরিবারকেই এখন আগের মতো খরচ করতে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে, কোনটা রাখব, কোনটা বাদ দেব? এই সময়ে একটু সচেতন হলে জীবনযাত্রার মান অনেকটা একইরকম রাখা সম্ভব। যা অনুসরণ করলে আপনি ব্যয় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, অথচ জীবনযাত্রার আনন্দও কমবে না।

 

মাসিক বাজারের তালিকা নতুন করে ভাবুন: গত কয়েক মাসের বাজার খরচ একবার খতিয়ে দেখুন- কোন জিনিসগুলো প্রয়োজন ছাড়াই নিয়মিত কিনছেন আর কোন পণ্যগুলো বিকল্প ব্র্যান্ডে কম দামে পাওয়া যায়। অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন, মৌলিক চাহিদার দিকে মন দিন। ছোট ছোট পরিবর্তনেও অনেক সাশ্রয় করা যায়, এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

রেস্টুরেন্টে যাওয়া কমিয়ে দিন: বাইরে খাওয়া মানে শুধু খাবার নয়, তার সঙ্গে পরিবেশ, আনন্দ ও সময় কাটানোও জড়িত। কিন্তু এখন এই আনন্দটাকে একটু সীমিত করা জরুরি। বাইরে না গিয়ে ঘরেই একদিন সবাই মিলে একটু ভিন্নধর্মী কিছু রান্না করে নিতে পারেন। আনন্দটাও থাকবে, খরচও কমবে। আড্ডাতে বসলে সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু বাড়তি খরচ হয়।

 

আড্ডা হোক সাশ্রয়ীভাবে: চায়ের দোকান, হোটেল কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাতে বসলে সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু বাড়তি খরচ হয়। এখন এক কাপ চা ১০ টাকা, আর যদি দিনে তিন-চারবার হয়, মাস শেষে সেটা যে কোন মাঝারি রেস্টুরেন্টের বিলের সমান দাঁড়ায়। এই অভ্যাসে একটু লাগাম টানুন। প্রতিদিন নয়, দুই দিন পরপর একবার আড্ডা দিন, কিংবা বাসায় বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিন। সম্পর্কও অটুট থাকবে, খরচও বাঁচবে।

 

যাতায়াতের খরচে বিকল্প ভাবুন: তেলের দাম বাড়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পরিবহনে। অফিসগামী বা ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে এখন ভাড়ার বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে।
সম্ভব হলে অফিস বা ক্লাসে যাতায়াতের জন্য বাইসাইকেল ব্যবহার শুরু করতে পারেন। একবার কিনতে কিছু খরচ হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি বেশ লাভজনক। এছাড়া শরীরচর্চার বাড়তি সুবিধাটাও মিলবে। অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে পালাক্রমে রাইড শেয়ার করে যাতায়াত করলে খরচও ভাগ হয়ে যাবে।

 

সামাজিক অনুষ্ঠানে বাস্তবতা বিবেচনা: বিয়ে, জন্মদিন, খতনা, নামকরণ এসব উপলক্ষে এখন অনুষ্ঠান আয়োজন করা বেশ ব্যয়বহুল। মূল্যস্ফীতির সময়ে বড় আয়োজনের চেয়ে ছোট, সাদামাটা উদযাপনই বুদ্ধিমানের কাজ। অল্প অতিথি, সরল মেন্যু, বাড়তি সাজসজ্জা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান করলেও আনন্দ কমে না। বরং মানসিক চাপ ও খরচ দুটোই কমে।

 

ভ্রমণ পরিকল্পনা একটু কাটছাঁট করুন: দেশে ভ্রমণ এখন অনেকের জীবনযাপনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু বারবার বেড়াতে যাওয়া মানেই বাড়তি ব্যয়। তাই ঘন ঘন ঘুরে বেড়ানোর বদলে বছরে একবার বা দু’বার পরিকল্পনা করুন। চাইলে কাছাকাছি কোনো জায়গায় একদিনের ঘুরে আসা ট্রিপও দিতে পারেন। এতে রিফ্রেশমেন্ট যেমন থাকবে, খরচও হবে সামান্য।

 

বিল ও ইউটিলিটিতে সচেতন হোন: বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, মোবাইল এসব মাসিক বিলের দিকেও খেয়াল রাখুন। অপ্রয়োজনীয়ভাবে আলো জ্বালিয়ে রাখা, ফোনে অতিরিক্ত ডেটা খরচ বা টিভি অন রেখে ঘুমিয়ে পড়া এসব ছোট অভ্যাসই মাসে কয়েকশো টাকা নষ্ট করে দেয়। প্রতিটি বিলের দিকে নজর দিন, কোথায় একটু কমানো যায় দেখুন।

লাইফস্টাইল বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর