ঢাকা, ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার, ২০২৫ || ১১ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৮০২

আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা শুরু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৬ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ। শুরু হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা। সবার অপেক্ষা ভোট শুরুর বিশেষ ক্ষণটির। গোটা দেশের নজর এখন ৩০ ডিসেম্বর, রোববারের দিকে। দেশের সাড়ে ১০ কোটি ভোটার সেদিন যাদের পক্ষে রায় দেবে, আসছে পাঁচ বছর তাদের হাতেই থাকবে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা।

অধিকাংশ নিবন্ধিত দলের বর্জনে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার ৫ বছর পর এবারের নির্বাচনে সব দলকেই পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলেছেন সবাই।

প্রতীক বরাদ্দের পর গেল ১০ ডিসেম্বর সারাদেশে আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার শুরু হয়। শেষ হয়েছে শুক্রবার সকাল ৮টায়। তার আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন প্রার্থীরা। শেষ দিন প্রত্যুষেও অনেক প্রার্থী কুয়াশার চাদর ভেদ করে বের হন ভোট প্রার্থনায়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী,  এদিন সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। ভোটের দিন ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, বেবিট্যাক্সি / অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিনবোট ও স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে তিন দিন (শনি থেকে সোম)। তবে নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত মোটরবাইক ব্যবহার করতে পারবেন গণমাধ্যমকর্মীরা। ইসি জানিয়েছে, ব্যালট পেপারসহ দরকারি নির্বাচনী সামগ্রী জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে। ভোটের আগের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে তা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

আদালতের আদেশে বা অন্য কোনো কারণে শেষ মুহূর্তে ব্যালট পেপারে পরিবর্তন আনতে হলে তা নতুন করে ছাপাতে হবে ইসিকে। তারপর তা পৌঁছে দেয়া হবে হেলিকপ্টারে। ৩০ তারিখ দেশের ২৯৯ আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে। ভোটের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।

নিবন্ধিত ৩৯ দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে এবার ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। তবে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ছড়িয়েছে উত্তাপ। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।

বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্ট তাদের ভোটের প্রচারে বাধা দেয়া, হামলা-ভাঙচুর, পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করে আসছে শুরু থেকেই। পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশারের পদত্যাগও চেয়েছে তারা। ভোটের মাঠ দখল করে জমজমাট প্রচার চালিয়ে আসা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকরাও হামলা-ভাংচুরের পাল্টা অভিযোগ করেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। তাদের কয়েকজনের প্রাণও গেছে প্রতিপক্ষের হামলায়।  

ভোটের মাঠে সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে বলে সিইসি কে এম নূরুল হুদা দাবি করে এলেও পাঁচ সদস্যের ইসিতে ভিন্নমত পোষণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থাই তারা নিয়েছে।

সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এত দল ও প্রার্থীর নির্বাচনে কিছুটা উত্তাপ থাকলেও কোনো উদ্বেগ নেই।

ভোটের সব খবর বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর