ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৯১

এমসি কলেজে নববধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেফতার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৩৯ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

সিলেট এমসি কলেজে নববধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মাহফুজুর রহমান (২৫)। এ নিয়ে আলোচিত মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৫ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ২ জন রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে মাহফুজুরকে গ্রেফতার করা হয়। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও জেলা ডিবির যৌথ অভিযানে তাকে ধরা হয়। সে এমসি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সিলেট জেলার কানাইঘাটের দক্ষিণ বণীগ্রাম ইউনিয়নের লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদের ছেলে ও।

 

ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের পর থেকে পলাতক ছিল মাহফুজুর। তাকে গ্রেফতার করতে শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালায়। পাশাপাশি সে যাতে কানাইঘাটের সীমান্ত দিয়ে ভারতে যেতে না পারে, সেজন্য ওই এলাকায় কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়।

 

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার ৬ নং আসামি মাহফুজুরকে গ্রেফতারে করতে সক্ষম হয় পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানায় তারা।

 

এদিকে সোমবার এ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরে বেলা ৩টার দিকে অপর আসামি রবিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালত ৫ দিনের মঞ্জুর করেন।

 

অন্যদিকে গ্রেফতার শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুদ্দিনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত ৫ দিনের মঞ্জুর করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না।

 

এর আগে গত রোববার সকালে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুরকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করা হয়। পৃথক অভিযানে একই দিন ভোরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুনকে আটক করা হয়। এছাড়া রোববার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯। এসময় তাকে সহযোগিতায় করায় আইনুদ্দিনকে আটক করা হয়। দুজনকেই এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল তারেকুল ইসলাম তারেককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

 

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, ইতোমধ্যে এ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজনকে দ্রুত গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।

 

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যান নবপরিণীতা। ওই সময় স্বামীকে আটকে রেখে তাকে গণধর্ষণ করে দুর্বত্তরা। এ অপ্রীতিকর ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপি’র শাহপরাণ থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী মাইদুল ইসলাম।