ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৯৮

ওমিক্রনের পর করোনার নতুন ধরন আসতে পারে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:০১ ২০ জানুয়ারি ২০২২  

বিশ্বের কোনো স্থানেই করোনা শেষ হয়নি। অর্থাৎ পুরোপুরি চলে যায়নি বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তিনি বলছেন, ভাইরাসটির অতি আগ্রাসী ধরন ওমিক্রনের পর নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে।

 

টেড্রোস আধানম বলেন, বিশ্বের কোথাও করোনা মহামারি শেষ হয়নি। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের প্রকোপ বাড়ছে। এরপর নতুন ধরনের আবির্ভাব হতে পারে। কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন।

 

তিনি বলেন, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর অসুস্থতা তুলনামূলক কম হলেও ওমিক্রন বিপজ্জনক। বিশ্বের বহু মানুষ করোনার টিকা নেননি। তাই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, আফ্রিকায় এখনো ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ এক ডোজ টিকাও পাননি। টিকা নিয়ে এই বৈষম্য দূর করতে না পারলে মহামারি পুরোপুরি শেষ হবে না।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশ, ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ ও ২০২২ সালের মাঝামাঝি প্রতিটি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চান বলে জানিয়েছিলেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।
 

তিনি বলেন, এখনো ৯০টি দেশ ৪০ শতাংশ ও এর মধ্যে ৩৬টি দেশ ১০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারেনি।
 

ডব্লিউএইচওর প্রধান আরও বলেন, এখন বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগ করোনাভাইরাসের টিকা নেননি। তবে তিনি এটাও বলেছেন যে টিকা করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঠেকাতে খুব কার্যকর হলেও ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধের পূর্ণ সক্ষমতা টিকার নেই।

 

গত বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কারের পর ওমিক্রন দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। বিভিন্ন দেশ ফের কঠোর পদক্ষেপ জারি করছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলছে, ওমিক্রন ধরনের লক্ষণগুলোকে কোনোভাবেই মৃদু উপসর্গ মনে করা যাবে না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার হার এবং পরে তাদের মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে সংস্থা বলছে, ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে ফলাফল হবে মারাত্মক।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাইক রিয়ান বলেন, আমরা যদি ওমিক্রনকে হালকা ধরনের ভাইরাস হিসেবে ধরি, তাহলে বলতে হয় তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর কম প্রভাবই ফেলছে। কিন্তু তাই বলে ওই ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ যখন ঠেকানো যাবে না, তখন সেটিকে আর কোনোভাবেই হালকা হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার পরামর্শ দিচ্ছি।
 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাবিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকোভ বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস খুব দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার কর্মসূচি যেন কোনোভাবেই প্রত্যাহার করা না হয়, আমরা সেই পরামর্শই দিচ্ছি। একইসঙ্গে বলছি, ওমিক্রনই কিন্তু শেষ ধরন নয়।
 

বিশ্ব স্বাস্থ্য এর আগে বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যারা এখনও টিকা নেননি তাদের জন্য ওমিক্রন ধরনটি বিপজ্জনক।

 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর