ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫০৬

করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয়: কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে হরিলুট!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৫ ৩১ আগস্ট ২০২০  

করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিললো রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সেহাবউদ্দীনের বিরুদ্ধে। অনেক সামগ্রী ১০ গুণ বেশি দামেও কেনা হয়েছে।  কেনাকাটার এমন ৯৩টি বিলে অসঙ্গতি চোখে পড়েছে।

 

শুধু তাই নয়, একক অর্ডারের মাধ্যমে আত্মীয়দের নাম সর্বস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

 

প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে সেবাদান শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

 

১২ কোটি ১০ লাখের বেশি কেনাকাটায় দেয়া বিভিন্ন কার্যাদেশের বিলে প্রচুর অসঙ্গতি মিলেছে।

 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২৫ লাখ টাকা বাজারমূল্যের পিসিআর মেশিনের দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। মাল্টিপারপাস পেশেন্ট মনিটর যন্ত্র কেনা হয়েছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। কেনাকাটায় জিএম ইন্টারন্যাশনাল এবং মেসার্স আলী ট্রেডার্সের নাম ব্যবহার করা হলেও  এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি।

 

একজন বলেন, ‘মেসার্স আলী ট্রেডার্স এখানে আরো এক বছর আগে ছিল, এখন কই গেছে জানি না।’

 

গত ২৫ তারিখ ক্রয় কমিটির ২ জন চিকিৎসককে জরুরি তলব করে ৫০টি সই নেয়া হয়। এখন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদ।

 

ক্রয় কমিটির সদস্য ডা. সোহেলী পারভিন বলেন, ‘অনেকবার ফোন করে আমাদের জোর করে ডেকে নিয়ে গেছে। সেখানে নিয়ে কিছু বুঝতে না দিয়ে রেজুলেশনের কাগজ বলে অনেক স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। আমি মনে হয় ৫০ টার বেশি স্বাক্ষর করছি।’

 

বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত সেহাবউদ্দীনকে পাওয়া যায়নি।

 

তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া।

 

কয়েক মাস আগে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে বদলি হওয়া সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়কের যোগসাজশেই এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।