ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩২২

ঘাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:৫৬ ২৫ জুলাই ২০২০  

বঙ্গবন্ধুর খুনি ঘাতক এম রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে ‘অ্যাসাইলাম’ (আশ্রয় প্রার্থনা) রায়ের নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল। আর এই তৎপরতাকে রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় পাওয়া মামলাটি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন আইনজীবীরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্নাল পলিটিকো  শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীর দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই ধরনের উদ্যোগকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মামলা আবার সচল করেন এবং তাতে যদি রাশেদ চৌধুরীর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, তবে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা সহজ হবে।

খুনি রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কে পলিটিকো জার্নালের প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘তিনি ভেবেছিলেন তাঁর অ্যাসাইলাম আছে। এখন তিনি মৃত্যুদণ্ডাদেশের মুখোমুখি হতে পারেন।’

রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদনে দাবি করেছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা খুব কমই ছিল। বিষয়টি তুলে ধরে পলিটিকো লিখেছে, বাংলাদেশ রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চায়। আর তাঁর ভাগ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের হাতে।

পলিটিকো বলছে, গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার নীরবে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি তাঁর পূর্ণ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এম রাশেদ চৌধুরীর আদ্যক্ষর ‘এ-এম-আর-সি’ সংক্রান্ত নথি পাঠাতে ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

রাশেদ চৌধুরী ১৯৯৬ সালে ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সেখানে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আবেদনের ১০ বছর পর তিনি আশ্রয়ের অনুমতি পান।