ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার, ২০২৫ || ২ আশ্বিন ১৪৩২
good-food
১৫

চট্টগ্রামে ‘মহড়ায় অংশ নিতে’ এসেছে মার্কিন সামরিক বিমান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:০৪ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকে মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণ এবং বন্দরনগরীর একটি হোটেলে মার্কিন সেনাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে। তবে এসব গুঞ্জন নাকচ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

 

আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে চলমান সাত দিনব্যাপী যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবেই মার্কিন সেনারা চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।

 

গত রোববার বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামের এই মহড়ার উদ্বোধন করা হয়। মহড়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। এতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান ও একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৯২ জন সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন।

 

মহড়ার মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, মেডিভ্যাক (উদ্ধার অভিযান) সমন্বয়, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈমানিক কার্যক্রম, প্যারাসুট ও লিটার রিগিং, রোটারি-উইং হোইস্ট অপারেশন, সামুদ্রিক ও বন্যা মোকাবিলা কার্যক্রম, কমব্যাট রাবার রেইডিং ক্রাফট (সিআরআরসি), জঙ্গল সারভাইভাল, দুর্ঘটনাস্থল ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ প্রতিরোধ (এইচএডিআর)।

 

চট্টগ্রামের ঘাঁটিতে মার্কিন সি-১৩০জে বিমানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অনেকে দাবি করেন, মার্কিন সেনারা চট্টগ্রামের হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন। এসব জল্পনার মধ্যে আইএসপিআর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহড়া নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

 

আইএসপিআর আরো জানিয়েছে, দুই দেশের বিমান বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা এবং সহযোগিতা শক্তিশালী করা মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি মহড়ার মাধ্যমে চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা দেওয়া হবে, যা দুই দেশের আস্থা ও বন্ধন আরো দৃঢ় করবে।

 

মহড়া চলাকালে বাস্তবমুখী অনুশীলন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতির আয়োজন করা হচ্ছে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত ও কার্যকরভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। এর ফলে দুই দেশের বিমান বাহিনীর সমন্বয়, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং মানবিক সহায়তার দক্ষতা বাড়বে।

 

মঙ্গলবার ঘাঁটি জহুরুল হকে গিয়ে মহড়া পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এ সময় তিনি দুই দেশের সেনাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সাত দিনের এই যৌথ মহড়া বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।