ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৯৫

জয়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৭ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের বেশ কিছু ডিজিটাল পদক্ষেপের পেছনে ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের মেধা রয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত তাকে এবং দেশের জনগণকেই নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি এএনআই’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সক্রিয় রাজনীতিতে পুত্র জয়ের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখুন, জয় এখন বড় হয়ে গেছে। তাই, এটা তার সিদ্ধান্ত। তবে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ও। আমরা যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, তেমনি এসব স্যাটেলাইট অথবা সাবমেরিন ক্যাবল অথবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল সিস্টেমের সবকিছুর ধারণাই তার মেধা থেকে এসেছে। আপনারা জানেন-সে আমাকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু, ছেলে কখনোই দল বা মন্ত্রণালয়ের কোন পদ নেয়ার কথা চিন্তা করেনি। না, সে তা করেনি।

 

শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, একবার তাঁর দলীয় অনুষ্ঠানে কর্মীরা জয়ের দলে একটি ভূমিকা থাকার জোর দাবি জানিয়েছিল। তিনি বলেন, এমনকি আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তাকে দলে যোগদানের জোর দাবি ওঠে। তখন তাকে বলি, তুমি মাইক্রোফোনে তোমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দাও। তারপর সে তা করে। ও বলেছে, না। আমি এই মুহূর্তে দলের কোনো পদ চাই না। বরং যারা দলের জন্য কাজ করছেন, তাদের এ পদে থাকা উচিৎ। আমি কেন একটি দল দখল করব? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি। আমি দেশের জন্য কাজ করছি। আমি তাঁকে সহযোগিতা করছি। আর আমি তাই করে যাব। 

 

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই জয়ের সিদ্ধান্ত। বিষয়টি এমন নয় যে, আমাকেই তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে বা রাজি করাতে হবে। না, তা নয়। 

 

ছেলের রাজনীতিতে আসা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্তটি জনগণের ওপর নির্ভর করছে।

 

শেখ হাসিনার দুই সন্তানের মধ্যে জয় বড় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছোট। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বাংলাদেশের ইস্যু ছিল না। 

 

এ সময় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়- যা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ইউএনও’তে বক্তৃতাকালে উল্লেখ করেন। আমরা সবাই তাঁর আদর্শ অনুসরণ করি। এক্ষেত্রে আমার মতামত হচ্ছে, আমাদের নিজ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। এ ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। কিভাবে তাদের আরো উন্নত জীবন দেয়া যায়? আমি সবসময়ই বলি যে আমাদের মাত্র একটিই শত্রু রয়েছে, আর তা হলো দারিদ্র। তাই, আসুন, আমরা দারিদ্র দূরীকরণে একসাথে কাজ করি।

 

শেখ হাসিনা সব সময় মনে করেন, শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা উচিৎ। তিনি বলেন, আমি সব সময় মনে করি যে হ্যাঁ, যদি চীন ও ভারতের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকে, তবে আমার সেখানে নাক গলানো উচিৎ নয়। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আছে। এটা সত্য। কিন্তু আপনারা জানেন, আমরা সেগুলোর অনেক সমস্যা সমাধান করেছি।

 

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, উন্নয়নই বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। দেশটি এর জনগণের উন্নয়নের জন্য যে কোনো দেশের সহায়তা নিতে ইচ্ছুক।