ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৫৮

পঞ্চগড়ে হামলাকারীরা রাজাকারের উত্তরসূরি: তথ্যমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৬ ১২ মার্চ ২০২৩  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারেরা ইসলাম রক্ষার নামে মানুষের ঘর-বাড়ি লুট, মানুষ হত্যা, দেশের জনপদের পর জনপদ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে যারা পঞ্চগড়ে হামলা করেছে তারাও রাজাকারের উত্তরসূরি, এজিদের বংশধর।

 

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মুক্তমঞ্চে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

তিনি বলেন, ‘ইসলাম রক্ষার নামে যুদ্ধের সময় রাজাকারেরা মানুষের ঘর-বাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যায় মেতে ওঠে। একইভাবে পঞ্চগড়েও হামলার ঘটনা ঘটেছে। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তারা রাজাকারের উত্তরসূরি, এজিদের বংশধর। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে ১১ তারিখে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। বর্তমান সরকারকে টান দিয়ে ফেলে দেবে; কিন্তু টান দিতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে মির্জা ফখরুলসহ সব বিএনপি নেতাদের কোমর ভেঙে গেছে। তারা ব্যর্থ হয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

 

মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর এবং পুলিশ, র‍্যাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে; ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। সরকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধ পরিকর।’


রেলপথন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, মনিরা পারভীন ও নাঈমুজ্জামান মুক্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।