ঢাকা, ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার, ২০২৫ || ১১ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
৯৪৯

মন্ত্রীত্ব নিয়ে ভাবনা নেই মাশরাফির

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৩০ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

অতঃপর মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নির্বাচনের প্রচারণায় পাওয়া গেল। গতকাল রোববার প্রচারণার প্রথম দিনটা কেটেছে ভীষণ ব্যস্ততায়। একটু দম পেয়েই সন্ধ্যায় চলে গেছেন পরিবারের কাছে। 

পরিবারের কাছে গিয়ে বসেন সন্তানদের সঙ্গে। তবে মাশরাফি হেসে বাঁচেন না  তাঁর সন্তানদের স্লোগান শুনে। ছেলেমেয়ে দুজনই সুর করে স্লোগান ধরেছে, ‘মাশরাফি ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন! ... বি কেয়ারফুল বি কেয়ারফুল!’

নির্বাচনের মৌসুমে তাঁর অবুঝ ছেলেমেয়েই শুধু তাঁকে ‘মাশরাফি ভাই’ বলে ডাকছে না, কান পাতলে নড়াইল-২ আসনজুড়েই শোনা যাচ্ছে এই একই স্লোগান।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো এলাকায় এসেছেন ম্যাশ গত পরশু। প্রচারণা শুরু করেছেন কাল থেকে। বিরতিহীন চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ আর মতবিনিময় সভা, সমাবেশ।

এ আসনের ভোটার ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫১২ জন। ১৯০ ওয়ার্ডে ইউনিয়ন আছে ২০টি। প্রচারণার প্রথম দিনে যেতে পেরেছেন মাত্র তিন ইউনিয়নে। যেহেতু ২৭ তারিখের পর প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, চার দিনে বাকি ইউনিয়নগুলোয় যেতে পারবেন কি না, সংশয়ে আছেন। তবুও চেষ্টার কমতি রাখছেন না। আজ যেমন যাবেন মিঠাপুর বাজার, ঝামার ঘোপ বটতলা, লাহুড়িয়া, মাকড়াইল স্কুল মাঠ, তালতলা অফিস, ছত্রহাজারী, মানিকগঞ্জ বাজার, মরণ মোড়, চাচই স্কুল মাঠ, সিডি স্কুল, কালনা বাজার, লংকারচড় ও পাঁচাইলঘাট এলাকায়।

আজ নির্বাচনী নির্বাচনী প্রচার শুরু  সকাল ১০ থেকে, শেষ কখন হবে সেটা মাশরাফি নিজেও জানেন না। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্তও তাঁকে ব্যস্ত দেখা গেল নেতা–কর্মীদের নিয়ে সভা-বৈঠক করতে। নিজে যেহেতু তরুণ তাই বেশির ভাগ তরুণ নেতা-কর্মীকে দেখা যাচ্ছে তাঁর আশপাশে। প্রবীণ নেতারা উপস্থিত থাকছেন বিভিন্ন সভায়।

এতদিন শুধু ক্রিকেট মাঠে খেলেছেন মাশরাফি। এখন খেলতে হচ্ছে রাজনীতির মাঠে। বললেন ‘কিছুই মনে হচ্ছে না। আমি বর্তমানে থাকতে চাই। গত ৪৫ দিনে আমার জীবনে যে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়েছি, বর্তমানকে গুরুত্ব দেওয়া। বর্তমানে যেটা আসছে শুধু সেটাই সামলাচ্ছি।’

মাশরাফি এখনো পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন। তবে তিনি মনে করছেন রাজনীতির মাঠে এসে কঠিন কাজ হচ্ছে শুধু বক্তৃতা দেওয়াটা।

কাল রাতে নড়াইল পৌরসভায় মতবিনিময় সভায় অকপটেই স্বীকার করে নিলেন মাশরাফি, ‘রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলতে পারছি না এখনো। এখনো খেলাধুলা করি। আপনারা দেখেছেন আমাকে খেলাধুলা করতে। আপনারা সেভাবেই আমাকে চেনেন। ওভাবেই থাকতে চাই আপনাদের কাছে। নড়াইলে মুরব্বি যাঁরা আছেন, তাঁদের সামনে এমনি কথা বলতে আমার একটু অস্বস্তি লাগে। আমি আসলে অত সুন্দরভাবে বলতেও পারি না।’

বিনয় করেই বলছেন, সুন্দরভাবে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে পারেন না। তবে মাশরাফি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ‘সুন্দর নড়াইল’ গড়ার।

স্থানীয় রাজনীতিকরা বলছেন, সুন্দর নড়াইল গড়তে হলে মাশরাফিকে শুধু সাংসদ হলেই চলবে না, হতে হবে মন্ত্রিসভার একজন উদ্যমী সদস্যও। আবার অনেকে আত্মবিশ্বাসী, মাশরাফি ভবিষ্যতে মন্ত্রিত্বও পেতে পারেন, ‘আমাদের এখানে দল যার যার, মাশরাফি এই দেশের সবার। সে অত্যন্ত যোগ্য ছেলে।  আমাদের বিশ্বাস, মাশরাফি জিতলে এবং আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলে সে মন্ত্রিত্বও পাবে। এর আগে কখনো নড়াইল থেকে আমরা মন্ত্রী পাইনি। আশা করি, মাশরাফিকে দিয়ে সেই শূন্যতা পূরণ হবে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ক্ষমতার কাছে থাকাটা খুব জরুরি।’

মাশরাফি আগেই বলেছেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চান না, থাকতে চান বর্তমান নিয়ে। মন্ত্রী হতে পারবেন কি, পারবেন না, সেটি নিয়েও তাঁর ভাবনা নেই।

 

ভোটের সব খবর বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর