ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৭৭

মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪০ ১৫ জুলাই ২০২১  

পৃথিবী আমাদের এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে, যেখানে ‘মাস্ক কেন পরবেন’, সেই প্রশ্ন না করে বরং প্রশ্ন করা উচিত ‘কেন মাস্ক পরবেন না’। এই মুহূর্তে পৃথিবীর আর দশজনের মতো আপনার কাছেও মাস্ক না পরার কোনো যথাযোগ্য কারণ নেই, সুতরাং আপনি অবশ্যই মাস্ক পরবেন।

 

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো মানুষের শ্বাসনালি থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা বা রেস্পিরেটরি ড্রপলেট। মানুষ কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় এই জলকণা বেরিয়ে আসে। এ ছাড়া ভাইরাসের কণা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারে এবং আপনার নাক বা মুখ দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে। এ জন্য ফেসমাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ভিড়ের মধ্যে বা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ফেসশিল্ড ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো।

 

ভাইরাস এমন মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে, যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সুতরাং, উপসর্গহীন ব্যক্তিরা অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে, বুঝে ওঠার আগেই। তাই মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

মাস্ক ব্যবহারবিধি

•    মাস্ক পরার আগে হাত সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
•    নাক ও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে ফেলুন। মুখ ও মাস্কের মধ্যে কোনো ফাঁকা স্থান থাকা যাবে না।
•    ব্যবহারের সময় মাস্ক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। ডিসপোজিবল বা একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি মাস্ক বারবার ব্যবহার করবেন না।

 

•    ব্যবহৃত মাস্ক যেখানে–সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলে দিন।
•     মাস্ক খোলার পর হাত পরিষ্কার করে নিন।
•     কাপড়ের তৈরি বা বারবার ধোয়া ও ব্যবহার করা যায় এমন মাস্ক প্রতিবার ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। 

 

•     মাস্কের প্যাকেটের গায়ে যতবার ব্যবহারের কথা লেখা থাকবে, তার বেশিবার মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না।

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দিয়ে মাস্ক পরতে পারেন। তবে কাপড়ের তৈরি মাস্কেরও উপকরণ, কত স্তর হবে—এগুলোর নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। সেটি মেনেই আপনাকে মাস্ক বানিয়ে বা কিনে নিতে হবে। শুধু নিজেকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে নয়, আপনার কাছ থেকেও যেন কেউ আক্রান্ত না হয়, সে জন্যই আপনাকে মাস্ক পরতে হবে। এটি আমাদের কাউকে শতভাগ নিরাপত্তা না দিলেও সংক্রমণের হার কমিয়ে আনবে।

 

ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসাসেবা পাওয়া নিশ্চিত করা সহজ হবে। সংক্রমণের হার কমে গেলে ভাইরাসে রূপান্তরের মাধ্যমে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর প্রজাতির উদ্ভব প্রতিহত করা ­সম্ভব হবে। তাই মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, নিজে বাঁচুন, মানুষকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখুন।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর