ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬১২

র‌্যাব-১২’র অভিযান

লিবিয়ায় বাংলাদেশী অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

রিপন দাস, বগুড়াঃ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪১ ৩ জুন ২০২০  

সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে। লিবিয়ায় বাংলাদেশী অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১২’র বিশেষ অভিযানিক টিম।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার খাসতবক গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মো: সজল ও নাচনাপাড়া গ্রামের ইউসুফ গোড়ামীর ছেলে মো: ইদ্রিস আলী।

সূত্র জানা যায়, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার চুলকাঠি গ্রামের মো. আনোয়ার গাজীর লিবিয়া প্রবাসী মো. মুরশিদ গাজী (২৭) সহ বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী (২৭) কিছু স্থানীয় বাংলাদেশী ও লিবিয়ান মানবপাচার চক্রের দ্বারা অপহৃত হয়। অপহরণের পর লিবিয়ায় বাংলাদেশী চক্রের সদস্যরা ছদ্ম নামের ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজীকে বাংলাদেশী চক্রের মূল হোতা লিবিয়ায় বসবাসরত সোহেল (২৮) ভিকটিমদের নির্যাতনের একটি ভিডিও পাঠায় ও নগদ ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং মুক্তিপণ অনাদায়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঐ ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে লিবিয়ার মূলহোতা সোহেল মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার ছোট ভাই পাথরঘাটা নিবাসি মোঃ সজল ও নগদের এজেন্ট মোঃ ইদ্রিস আলীর নম্বর প্রদান করে এবং ভিকটিমের বড় ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে মারধর ও কান্না কাটির শব্দ শোনানো হয়। ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজী মোঃ সজলের সাথে উক্ত নম্বরে কথা বলে মোঃ ইদ্রিস আলীর নগদ হিসাবের মাধ্যমে মুক্তিপণের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। একইভাবে সজল ও ইদ্রিসের একাধিক সীম নম্বর ও মোবাইল সেট ব্যবহার করে বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী(২৭) এর পরিবারের কাছ থেকেও ৫ লাখ টাকা দাবী করে এবং মুক্তিপণ অনাদায়ে মেরে ফেলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম সাইফুল আলীর পরিবারও ইদ্রিসের নগদ হিসাবের মাধ্যমে সজলকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে।

উক্ত ভিডিও, ফেইসবুক লিংক মোবাইল নম্বর ও নগদ হিসাবের সূত্রধরে র‌্যাব-১২ চক্রটিকে গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায়, গত মঙ্গলবার রাতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে  গ্রেফতার করে। এ সময় তাহাদের হেফাজত হইতে বিকাশ, নগদ, ও মোবাইল ফোনের লোডের ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ টাকা ও নগদ ৮ হাজার ১০০ টাকা, ২৫ টি নগদ, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের রেজিষ্টার খাতা, ১১টি মোবাইলসেট ও ২৯ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

 

উক্ত ভিডিওতে দেখানো ভিকটিমদের মধ্যে ভিকটিম মুরশিদ গাজী (২৭) ও সাইফুল আলী (২৭) জীবিত আছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বাকীদের অবস্থান এখানো জানা যায়নি। তবে অন্যান্য ভিকটিমদের অবস্থান জানা ও বাকী অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।