ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৫৫৯

শিশু ধর্ষণ: ‘ঐতিহাসিক’ রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:১৯ ১৯ অক্টোবর ২০২০  

বাগেরহাটের মোংলায় শিশু ধর্ষণ মামলায় আবদুল মান্নান সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। 

 

সোমবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম ‘ঐতিহাসিক’ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে এত দ্রুত কোনো ধর্ষণ মামলার রায় হয়নি।

 

বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মাত্র সাত কার্যদিবসে বিচার শেষ হওয়াকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা মনে করেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার এভাবে দ্রুত সম্পন্ন হলে ধর্ষণরোধে ভূমিকা রাখবে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবাহারা ৭ বছর বয়সী শিশুটি মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় মামার কাছে থাকতো। গেল ৩ অক্টোবর বিকালে বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে একই এলাকার আবদুল মান্নান। 

 

পরে মেয়েটি মামাকে ঘটনাটি জানায়। সবকিছু শুনে মান্নানকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা করে শিশুটির মামা। এরপর ওই দিন রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

গেল ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত মুখার্জ্জী। পরে ১২ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ১৪ অক্টোবর চিকিৎসক, বিচারিক হাকিম, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়। ১৬ ও ১৭ অক্টোবর সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ অক্টোবর বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়। ১৯ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম।

 

গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি রনজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উল্লেখ আছে, ধর্ষণের ঘটনায় আসামি ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যাবে। এ মামলা সেটারই প্রমাণ।