ঢাকা, ১৫ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
good-food
৭৯৮

সবই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ইশারায় : রিজভী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪২ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডারদের গুন্ডামিতে বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। তারা বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেছে। গ্রামে-গ্রামে চলছে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া। সারাদেশে এখন ভীতিকর অবস্থা বিরাজমান। সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখেছেন সিইসি। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। সবই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ইশারায় এবং সিইসির তত্ত্বাবধানে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এবার ভোটবিপ্লব হবে। দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে তা হবে। কেন্দ্র পাহারা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করা হবে। - আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, নানা কারণে বাংলাদেশের নদ-নদীর উজানে পানির প্রবাহ কমে গেছে। আগে যে পদ্মাকে প্রমত্তা বলা হত এখন গরুর গাড়িতে করেও পার হওয়া যায়। সুতরাং ওবায়দুল কাদের গণজোয়ারের যে কথা বলেছেন সেই জোয়ার নদী ও সমুদ্রের মোহনায় নেই। সেই জোয়ার এখন তার মুখে চলে এসেছে। মূলত যেখানে জোয়ার থাকার কথা সেখানে পানিশূন্য বালির চর।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুধু চর নয়। নির্বাচনে নদীসহ চর দখল করবে বলেই জাতীয়তাবাদী শক্তির অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠী শুরু করে প্রায় অনেক দিন আগেই। সেজন্য বানোয়াট মামলা দিয়ে নির্বাচনের প্রায় বছরখানেক আগেই সাজা দিয়ে দেশনেত্রীকে বন্দি করা হয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রশক্তি সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতের মুঠোয়। প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আদালত কারও টু শব্দ করার উপায় নেই। টু শব্দ করলে পরিণতি কী হবে তারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা যা চান এর বাইরে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রাচীন পাণ্ডলিপিতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। ন্যায়বিচার থাকলে বেগম জিয়া খালাস পেতেন। আসন্ন নির্বাচনে তার উপস্থিতিতে যে ঢেউ উঠতো সেটিকে বাধা দেয়ার জন্য সরকার তাকে আটকে রেখেছে। ত্রাস সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচন করার জন্যই তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট গ্রেফতার হয়েছেন ১০ হাজার ৩২৯ জন নেতাকর্মী। গায়েবি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৮৪৪টি। মোট হামলার সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৬টি, আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৫২ জন, মৃতের সংখ্যা ৯ জন। শুধু এদিনই বিভিন্ন জেলায় বানোয়াট মামলা দায়ের হয়েছে ৩৮টি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ১২৭ জন নেতাকর্মীকে, হত্যা করা হয়েছে একজনকে।

ভোটের সব খবর বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর