ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩২২

সুজন ভাই মরে যাবার উপক্রম ঘটেছিল : তামিম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:১৭ ১১ মে ২০২০  

সুজন ভাই, আপনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে নন্দিত, প্রশংসিত। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচিতও। অনেক সমালোচনা আপনাকে এখনও শুনতে হয়। আপনার কিছু কিছু গুণের কথা আমার খুব ভাল জানা। যা অনেকেই জানে না। যা জনসম্মুখে সেভাবে বলাও হয় না। তবে আমি এই ফেসবুক লাইভের প্লাটফর্মে আমি তা বলতে চাই।’

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে বলছিলেন তামিম ইকবাল। 

 

রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে সুজনকে তামিম বলতে থাকেন, ‘আপনি সবসময় অনেক ক্রিকেটারকে টেইক কেয়ার করেন। তাদের খেয়াল রাখেন। আর একদম নবীনদের বেলায় অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন। আমি জানি আপনি প্রতিবছর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে অন্তত ২০-২৫ জন ক্রিকেটারের পাশে থাকেন। তারা যেন ভাল দল পায়, সে কাজটি আন্তরিকতার সঙ্গে করে দেন। বিপিএলে নতুন ক্রিকেটারদের আপনি সুযোগ দেয়ার কাজটিও করেন গুরুত্ব সহকারে।’

 

তারপর কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে তামিম ইকবালের প্রথম প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেবার ঘটনা। তামিম যখন ২০০৬ সালে ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট শুরু করেন, তখন দলের অধিনায়ক ছিলেন তার চাচা আকরাম খান। আর সুজন ছিলেন সহ অধিনায়ক।

 

তামিম অকপটে স্বীকার করেন, তার ওল্ড ডিওএইচএসে যোগ দেয়ার পেছনেও সুজনের অবদান ছিল প্রচুর।

 

তার ভাষায়, ‘ঐ বছর আমার খেলারই কথা না। ডিওএইচএস ছিল চ্যাম্পিয়ন টিম। আপনাদের সাপোর্ট না থাকলে আমি হয়তো সেবার ঐ দলে জায়গা পেতাম না।’


এইটুকু বলেই তামিম রসিকতার সুরে অন্য এক প্রসঙ্গ টেনে আনেন। হঠাৎ বলে বসেন, ‘আপনারা হয়ত জানেন না যে, সুজন ভাই মনে হয় আজ আর বেঁচে থাকতেন না! একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যাতে সুজন ভাই মারাও যেতে পারতেন। মরে যাবার উপক্রম ঘটেছিল।’

 

কী ছিল সেই ঘটনা? ঘটনাটি ভেঙে বললেন সুজন নিজেই, ‘সেটা ছিল নিউজিল্যান্ড সফরের কথা। আমি তখন সহকারী কোচ। প্র্যাকটিসে অন্যান্য কাজের মধ্যে ছিল তামিমকে বোলিং করা। কিউই ফাস্টবোলারদের দ্রুতগতির বোলিং খেলার প্রস্তুতি হিসেবে তামিম আমাকে বলল, সুজন ভাই আপনি আমাকে ২২ গজ না ১৮ গজ দূর থেকে বোলিং করেন। যাতে বল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত ব্যাটে আসে।’

 

‘আমিও বোলিং করছিলাম। হঠাৎ তামিমের একটি খানিক উঁচু করে খেলা স্ট্রেইট ড্রাইভ, বুলেটের গতিতে আমার শরীর ছুঁয়ে চলে গেল। সেই শটে মনে হয় বিদ্যুতের গতি ছিল। এত দ্রুত যে, আমি বোলিং শেষ করে ফলো থ্রু’তে মাটিতে পা রাখার আগেই বল আমার পিঠ ছুঁয়ে চলে গেল। আমি পিঠ ধরে দেখি লাল মোটা দাগ হয়ে গেছে। ভাবলাম মাথায় লাগলে আর রক্ষে ছিল না।’

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর