ঢাকা, ০৯ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৪৪

৪০ মণের ‘রাজা বাবু’র দাম ২৫ লাখ টাকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:২১ ১২ জুন ২০২৩  

যেমন তেজ, তেমনি গর্জন। সখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’। ওজনের দিকে ৪০ মণ ছাড়াবে। এমনই কুরবানির হাটে দেখা মিলবে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের রাজা বাবুর। তার দাম হাঁকছেন ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ন সহকারে গরুটি কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হবে জানান মালিক মফেল ভূঁইয়া। 

 

সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, খইল, ভুসি খাইয়েই গরুটিকে লালন পালন করা হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন খামারি। গরুটিকে দেখতে ভিড় করছেন আশে পাশের মানুষ। অনেকেই তুলছেন সেলফি। দিচ্ছেন বাহারি ক্যাপশনে পোস্ট। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়াল ঘর থেকে বের করা হচ্ছে রাজা বাবুকে। যেমন তেজ, তেমন গর্জন। তাকে সামাল দিতে ব্যস্ত রাজা বাবুর মালিক মফেল ভূঁইয়া ও তার দুই সন্তান। ক্যামেরার আলো পড়তেই তেজ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কোনো রকমে শান্ত করা হয়। মনে হয়, রাজার বেসে আসছে ‘রাজা বাবু’। মুখের গড়ন আর শরীরের ভারে দুলছে রাজা বাবু। চোখ জুড়িয়ে যায় দেখলেই। 

 

আরও জানা যায়, গরুটি পালন করছেন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের খামারি মফেল ভূঁইয়া। প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন-পালন করেন রাজা বাবুকে। সম্পূর্ণ দেশি ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভুসি খাইয়ে বড় করছেন তিনি। গত বছর কুরবানির ঈদে গরুটির দাম উঠেছিল ১০ লাখ কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় আর বিক্রি করেননি গরুটি। এবার আরও যত্ন করে বড় করেছেন রাজা বাবুকে। গায়ে-গতরে প্রায় ৪০ মণ মাংস হওয়ার দাবি খামারির। তাই দামও হাঁকছেন ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকা। তবে কেউ আদর করে নিলে তাদের জন্যে রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও। 

 

এ ব্যাপারে মফেল ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভুসি, খইল খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে রাজা বাবুকে। সাবান শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন গোসল করানো হয় গরুটিকে। পরম যত্নে গরুটিকে পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করছেন। বিশালাকৃতির গরুটি প্রায় সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন। তাই ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করা হয়। যদি কেউ কিনতে চায়, তাহলে আমার ঠিকানায় আসলেই হবে। আমার সন্তানের মতো লালন করেছি রাজা বাবুকে।’

 

তার ছেলে বলেন, ‘বিশালাকৃতির রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিনই শতশত মানুষ ভিড় করে বাড়িতে। অনেকেই সেলফি তুলেন। আমাদের বাড়ি এখন রাজা বাবুর জন্যে পরিচিত হয়ে উঠছে। আমার বাবা অনেক আদর করে তাকে লালন পালন করেছেন। যদি কেউ গরুটিকে কিনতে চায়, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমরাও গরুটিকে লালন পালন করতে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’


মফেল ভূঁইয়ার গরু ছাড়াও মাদারীপুর জেলায় ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক খামারি রয়েছে। এবারের কুরবানির ঈদে এসব গরু বিক্রি হবে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি খামারিদের।