নারী কিংবা পুরুষ নয়, দরকার ‘মানুষ’ হবার শিক্ষা
চলমান বিশ্বে আমরা কেউই নারী পুরুষের সম্পর্কটি সহজভাবে নিতে পারি না। সেই সাথে দুজন মানুষের সম্পর্ক কিরূপ হওয়া উচিত সেটি সম্পর্কে নেই পূর্ণাঙ্গ ধারণা। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে একটি মানুষের বেড়ে উঠবার ক্ষেত্রে। কিন্তু নিদারুণ বাস্তবতা হল, শৈশব থেকেই নারীকে নারী হয়ে উঠবার ও পুরুষকে পুরুষ হয়ে উঠবার শিক্ষা দেয়া হয়। লিঙ্গ নির্ধারনের ভিত্তিতে তাদের বেড়ে উঠবার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। কাউকেই মানুষ হিসেবে বড় হবার শিক্ষা দেওয়ার কথা আমাদের মনে থাকে না। এটি যে সবসময় জেনে বুঝেই করা হয় তা কিন্তু নয়। খুব অসচেতনভাবেই প্রভেদ সৃষ্টি হতে থাকে।
১১:০৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার
ভোটের তারিখ নিয়ে পুনর্বার ভাবার অবকাশ আছে কি-না?
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ (৩০ জানুয়ারি) সরস্বতী পূজার দিনে ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনেও বসেন। বিষয়টি একটি কঠিন ভাবনার জন্ম দিয়েছে ...
১১:৩৭ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
মাতাপিতার সাথে সদাচরণে আল্লাহর নির্দেশ
কোনো সন্তান তার মাতাপিতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারে, গায়ে হাত তুলতে পারে, থাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতে পারে, ভরণপোষণ থেকে বঞ্চিত করতে পারে? পারে। খুব পারে। বাংলাদেশে মাতাপিতার সাথে সন্তানের এ রূপ আচরণের অনেক নজির রয়েছে। আবার পশ্চিমা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অনেক সন্তানের কাছেও মা বাবারা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেক মাতাপিতার আল্টিমেট স্থান হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। বড় দুর্ভাগ্য আমাদের। বড় দুর্ভাগ্য এসব সন্তানদের।
১১:৫৩ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
ইরান সামরিকভাবে বিপজ্জনক
ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি কিছু। কিন্তু ইরানিরা জানে প্রথাগত যুদ্ধে এই শত্রুকে হারাতে পারবে না তারা। অস্ত্রশস্ত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নগণ্যই বলতে হবে। ইরানের লক্ষ্য তাই শত্রুর সর্বোচ্চ ক্ষতি করা, জেতা নয়।
সরাসরি যুদ্ধে জিততে চাওয়া প্রতিপক্ষের চেয়ে গেরিলা ধাঁচের লড়াইয়ে কেবল শহীদ হতে চাওয়া শত্রু বেশি হুমকিস্বরূপ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরান সে রকম। কয়েক দশক ধরে ইরান সেভাবেই যুদ্ধসম্পদ ও সমরকৌশল বিন্যস্ত করেছে।
০৪:৫৯ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি কতটা সৃজনশীল?
প্রায় এক দশক আগে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এ পদ্ধতিতে পাঠদান এবং পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক সূচনালগ্ন থেকেই। আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় যেরূপ কাটাছেঁড়া হয়, আমার মনে হয় বিশ্বে এর নজির বিরল। ২০১০ সালের আগে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল, তার সাফাই গাওয়া আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি কথাই বারবার মনে হচ্ছে, আর সেটি হলো নতুন কোনও ব্যবস্থা চালুর পূর্বে আমাদের উচিৎ যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই।
১০:৩০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
নরেন্দ্র মোদী, গঙ্গাঘাট ...
নরেন্দ্র মোদীর গঙ্গাঘাটে এভাবে পড়ে যাওয়ার কি কোন প্রতীকি মূল্য আছে? বিষয়টি দুর্ঘটনাতো বটেই। ভারতের সর্ব ধর্মের উদারনৈতিক মানুষগুলো বড় মনোকষ্টে আছেন, যারা সামাজিক ও ধর্মীয় সহনশীলতায় বিশ্বাসী তারা সুখে নেই। মোদী সাহেবের আত্মজীবনীকার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নীলান্জন মুখোপাধ্যায় তাদেরই একজন। দিল্লী প্রেসক্লাবে তিনি আমাকে ফিসফিস করে বলেছিলেন, “জুলহাস, দিস ইন্ডিয়া ইজ নট মাই ইন্ডিয়া, দিস ইন্ডিয়া ইজ নট আওয়ার ইন্ডিয়া।”
১২:৪৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ রোববার
সফলতাবোধ - ব্যর্থতাবোধ এবং আরো কিছু
মানুষের বেশীরভাগ জ্ঞান আপেক্ষিক, বিশেষ ক'রে সময় ও স্থান বিবেচনায়। তারপরেও বলা যায় কিছু জ্ঞান নির্দিষ্ট; যেমন - ধ্রুপদী গাণিতিক জ্ঞান সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কিছু জ্ঞান ( যার কিছু পদার্থের স্থায়ী বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত )।
১১:৫১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
তুমি রবে নীরবে . . .
যে পিতাকে সন্তানের মৃত্যু দেখে যেতে হয় সেই বেদনার হোমশিখার দহন শুধু তিনিই জানেন। আর সন্তানকে যদি মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়, সেই কষ্টের গভীরতা আটলান্টিককেও হারিয়ে দেয়। অন্যভূবনে চলে গেলেন অভিজিৎ রায়ের পিতা অজয় রায়। কোন অভিজিৎ? যিনি ব্লগে তার মত প্রকাশ করেছিলেন। ব্লগ কি? প্রিয় পাঠক, আপনি যিনি এই লেখাটি পড়ছেন নিশ্চয় জানেন প্রকারান্তরে এই লেখাটিও ব্লগ। আপনি, যিনি ফেসবুকে টুকিটাকি লেখেন সেটিও ব্লগ। সেই অর্থে আমিও ব্লগার, আপনিও ব্লগার। আজ পর্যন্ত হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন না হলেও ধরে নেয়া হয় ব্লগে ভিন্নমত প্রকাশের দায়ে অভিজিতকে হত্যা করা হয়।
১১:৪৩ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
কৃষকরা কী শুধু ঠকেই যাবেন?
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্রের বাজার এখন একশ্রেণির অসাধু ও অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া ব্যাপারিরাই সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।
০৭:৫০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
সড়কের আনন্দ, বেদনা ও আতঙ্ক
আমি নিজেকে যে কয়েকটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাবি করতে পারি, তার একটি হচ্ছে ‘বাংলাদেশের সড়ক পথের নিরলস যাত্রী’। শুধু যে মুখের কথায় দাবি করছি তা নয়, আমি তার প্রমাণও দিতে পারবো। যে দুমড়ানো মুচড়ানো মাইক্রোবাসটিতে আমি সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি (এবং আলাদাভাবে ঢাকা-সিলেট কিংবা সিলেট-ঢাকা করেছি) তার কারণে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়েছে, সেটি যদি শুধু একদিকে করা হতো তাহলে এর মাঝে পুরো পৃথিবীটাকে কমপক্ষে ছয়বার পাক খেয়ে আসতাম!
১১:১৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
দুটির বেশি নয়, একটি হলে ভালো
পেঁয়াজের সাথে চোখের জলের বরাবর ই একটা সম্পর্ক ছিল । পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখের জলে, নাকের জলে হয়েছেন অনেকে - এখন হচ্ছেন পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে। পেঁয়াজ নাকি এখন হালি করে কিনতে হয়। দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে গেলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখাতে হবে, এমন দিন আসছে সামনে।
১২:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
দেশ তার হারায় গৌরব
শতবর্ষেরও আগে ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘সকল দেশের সকল সমাজেই ত্রুটি ও অপূর্ণতাআছে, কিন্তু দেশের লোক স্বজাতির প্রতি ভালবাসার টানে যতক্ষণ এক থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিষ কাটিয়ে চলতে পারে। পচবার কারণ হাওয়ার মধ্যেই আছে। কিন্তু বেঁচে থাকলেই সেটা কাটিয়ে চলি, মরে গেলেই পচে উঠিত।’
আজকের বাংলাদেশ সেই অবস্থান থেকে নিজের মাথা উঁচিয়ে দাঁড়ানোর সময় তার সমস্ত অর্জনকে ক্ষুণ করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিগন্ত তৈরি করা হচ্ছে।
০৯:৫৮ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার
জান্নাতীর মুখের হাসি
বেশ কিছু দিন আগের কথা। একটি প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ, শিশুদের অনেক অনুষ্ঠানে এবং মাঝে মাঝে বাচ্চাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। তবে এবারে যে অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সেটি অন্য যেকোনও অনুষ্ঠান থেকে ভিন্ন। কারণ, এই অনুষ্ঠানে এসেছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাসার ছোট ছোট গৃহকর্মীরা।
০৬:৪৭ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
স্বপ্নবাজ তারুণ্যের স্রোতে বিকশিত হোক জরাগ্রস্ত সমাজ-সভ্যতা
`ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।‘
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথার্থই বলেছেন, নবীনদের আঘাত করেই সমাজ সভ্যতার সমস্ত জঞ্জাল সরাতে হবে। দূরন্ত তারুণ্যের আছে সেই দুর্বার শক্তি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম "যৌবনের গান" প্রবন্ধে বলেছেন "যে চাঁদ সাগরে জোয়ার জাগায় সে তার শক্তি সম্পর্কে আজও না ওয়াকিফ "।
তাই বুঝি সে শক্তি মাঝে মাঝে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে, অপশক্তি, অপযুক্তির খপ্পরে পড়ে যায়।
০৬:২৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার
অনুগ্রহ করে জবাব দিন
আমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলাম, সেই বিশ্ববিদ্যালয় আর এই বিশ্ববিদ্যালয় এক নয়। সার্বিকভাবে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও শিক্ষার মানের অনেক অবনতি ঘটেছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবনতি কোনোদিন মেনে নিতে পারিনি। এই চরম দুঃখবোধ রয়েই গেছে।
১১:২৬ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
ছাত্র রাজনীতি
আবরারের হত্যাকাণ্ডটি সবাইকে একটা বিশাল ধাক্কা দিয়ে গেছে। প্রাথমিক রাগ, দুঃখ হতাশা ও ক্ষোভের পর্যায়টুকু শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা এখন তার পরের পর্যায়টুকু দেখতে পাচ্ছি, যেখানে এই অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনাটি নিয়ে দেশে-বিদেশে অল্প-বিস্তর রাজনীতি করা শুরু হয়েছে।
১০:২৭ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার
শিশুর প্রতি সহিংসতা কেন?
শিশুরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে। কারণ শিশুরা যথোপযুক্ত মনোযোগের বিষয় নয়। শিশুরা আমাদের সমাজে এখনও খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি। যদিও কায়মনোবাক্যে একটি বুলি আওড়ে যাই, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যত এতটাই অনিরাপদ এতটাই অরক্ষিত এতটাই মূল্যহীন যে, তাদের জীবন আমাদের কাছে ক্ষোভ প্রশমনের মহড়া বিশেষ। যাদের ইচ্ছে মতো শাসনের তকমা এঁটে মারপিট করা যায়, অপমান অপদস্ত করা যায়, যখন ইচ্ছে তাদের প্রাণ নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়, কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায়, আবার ঘৃন্য যৌন লালসা মেটানো যায়।
০৭:২৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
তারা সন্ত্রাসী হয় যে কারণে
অস্বচ্ছলদের জন্য স্টাইফেন্ড আর মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপ। এই টাকাতেই পড়ার খরচ চলে যেতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বিত্তহীন বা নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের। স্বাধীন দেশে গেল ৫০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খাতে বাজেট ১০০ গুণ বাড়লেও বাড়েনি ছাত্রকল্যাণ বাজেট। টিউশনির সুযোগ সবার হয়না। জায়গীর প্রথাও উঠে গেছে। তাই শক্তি প্রদর্শনজনিত সুযোগই ভরসা।
০৫:৪৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
আবরারকে নিয়ে তসলিমার স্ট্যাটাসে তোলপাড়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের শাস্তি চেয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আবরারকে যারা পিটিয়েছিল, তাদের শাস্তি অবশ্যই হতে হবে। এর মধ্যেই কয়েকটাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে তসলিমা এ কথাও লিখেছিলেন, ‘আবরার অফিসিয়ালি শিবির না করলেও শিবিরের মতো চাল চলন আর চিন্তা ভাবনা বানিয়েছিল। তাতে কী! শিবিরদেরও বাঁচার অধিকার আছে। তাকে যারা পিটিয়েছিল, আমার বিশ্বাস, মেরে ফেলার উদ্দেশে পেটায়নি। কিন্তু মাথায় আঘাত লেগেছে, মরে গেছে।’
১২:৩৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
দানবের জন্ম
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমাকে আমার অনেক ছাত্রছাত্রীর মৃত্যু দেখতে হয়েছে, তরুণ ছাত্র-ছাত্রীর মৃত্যু বেশিরভাগ সময়েই অস্বাভাবিক মৃত্যু - দুর্ঘটনায়, পানিতে ডুবে কিংবা আত্মহত্যা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলার একটি ঘটনা ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় আবরারের হত্যাকাণ্ডটি তার থেকেও ভয়ানক।
১২:১১ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
কেন একসাথে ঝরলো এতগুলো মেধা?
পৃথিবীর কোনো বাবা মা-ই চাইবেন না তাঁর সন্তান খুন হোক বা খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হোক। ধনী হোক কাঙ্গাল হোক, পৃথিবীর সমস্ত বাবা-মা’র স্বপ্ন এবং চেষ্টা থাকে তাঁর সন্তানকে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে পড়ানোর। কারো চেষ্টা সফল হয় কারো হয়না।
যখন কোনো সন্তান উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তাঁর পছন্দের শিক্ষাঙ্গনে ভর্তির সুযোগ অর্জন করেন এবং ভর্তি হন তখন বাবা-মা’র থেকে বড় অভিভাবকের স্থান হয় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের।
১১:১১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
সময় এখন সজাগ হবার
বর্তমান সমাজে আসুরিক শক্তির আস্ফালন ভবিষ্যতের প্রতি এক অশনি সংকেত দেয়। কোন্ সভ্যতার পথে চলছি আমরা! কি ভবিষ্যত নির্মাণ করতে চলছি ? সভ্যতা আজ মৃত্যুকূপে। আজ সারা পৃথিবীব্যাপী উগ্রবাদ চর্চিত হচ্ছে। দেশ, কাল, পাত্র ও অবস্থান ভেদে এর রুপ ভিন্ন। তবে পরিনতি সবক্ষেত্রে একই। একটি সময় মানুষ সম্মানিত হত এবং বিবেচিত হতো তার জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও প্রাজ্ঞতার কারণে। কিন্তু বর্তমান পুঁজিবাদী ভোগ সর্বস্ব সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের সামাজিক অবস্থান বিবেচিত হয় তার অর্থনৈতিক অবস্থার মানদন্ডে।
০১:২৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
শুধু মেধা নয়, দরদি মানুষ চাই
অচিন্তনীয় সব অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে সকল দেশের সেরা আমার প্রিয় জন্মভুমিতে। কখনো মাথায় বাড়ি দেয় মোটা বাঁশ বা কাঠ দিয়ে, ধড়ফড় করে নিমিষে মরে যায় তাজা মানুষ। কখনো এরশাদ সিকদার বুকের উপর লাফালাফি করে হাড়গোড় চূর্ণবিচূর্ণ করে হৃদ্যন্ত্র কলিজা সব ফাটিয়ে জ্যান্ত মানুষকে নিমিষে চ্যাপ্টা লাশে পরিনত করে। কখনো হরেক কায়দায় হত্যা করে সাত জনের লাশ ডুবিয়ে রাখে শীতলক্ষার জলে। কখনো গুলি করে, কখনো গলা কেটে, কখনো এফোঁড় ওফোঁড় করে, কখনো পায়ুপথে বাতাস পাম্প করে সব কিছু ফাটিয়ে, কখনো পুড়িয়ে, কখনো ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে (বাড্ডায় রেনুর মতো) হত্যা করে। কখনো আবরারের মতো কাউকে পিটিয়ে পিটিয়ে থেতলিয়ে থেতলিয়ে তথাকথিত মেধাবীদের পৈশাচিক উল্লাসে হত্যা করে।
০১:১৭ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
আবরার হত্যাকান্ডে আমরাও দায়ী
বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকান্ডের কারণে সকাল থেকেই মানসিক অস্থিরতায় ভুগছি। ফেসবুকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটা স্ট্যাটাস লিখার প্রয়োজন অনুভব করছিলাম একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।
আমি কোনোদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতিকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারিনি। এই ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পোষণ ও মদদদানকে শিক্ষার জন্য এক বড় প্রতিবন্ধকতা বলেই আমি আজীবন বিশ্বাস করে এসেছি
১১:৩৬ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার
- আপনার কিডনি সুস্থ তো?
- বেনজীরের ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি স্থগিত করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- সবুজে অবগাহন
বৃক্ষের টানে মেলায় - কোন কোন দেশের ওপর কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
- নিউইয়র্কবাসীর হৃদয় জিতে বিদায় নিলেন বাংলাদেশি দিদারুল
- উড়ন্ত জয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে বাংলাদেশ
- ৩৩ বছর অতিক্রান্ত, অবশেষে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন শাহরুখ
- নাক-কান ফোঁড়ানোর আগে ও পরে যা জানা জরুরি
- ৩৪ লাখ টাকা পান ডলি জহুর, কান্নাকাটি করেও পাননি
- ইয়ামালের স্বপ্ন পূরণ
- জাস্ট ওয়েট, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য নির্বাচিত হবেন পিআর পদ্ধতিতে
- খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, সাড়ে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ
- শিবিরের নির্দেশনায় আন্দোলন করার তথ্য ‘মিথ্যা’: নাহিদ ইসলাম
- টেলিগ্রামেও ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’
- রক্ত দেয়া-নেয়ার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
- শাকিব খানের ঈদের সিনেমাটি কালা জাহাঙ্গীরের জীবনী নির্ভর নয়
- কুমিল্লায় বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০
- রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা: গ্রেপ্তার ৫
- ভারতের ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া
- যে কারণে ফুটবল ম্যাচ হয় ৯০ মিনিটের
- ঝাল খেলে পেট জ্বলে কেন?
- বিশ্বাস করবেন না, আল্লাহর দোহাই লাগে: সাদিয়া আয়মান
- একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর দুঃখ প্রকাশ করলেন আসিফ নজরুল
- দ্রুততম ৫ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মহেশ
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, ১১ দিন ৭ নির্দেশনা পুলিশের
- ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য পাল্টালেন মাহফুজ
- মডেল মেঘনার পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপের ফরেনসিক তৈরির নির্দেশ
- জ্বরে মুখের রুচি কমলে করণীয় কী
- জসিমের মতোই হঠাৎ মৃত্যুর খবর এলো ছেলের
- ঝাল খেলে পেট জ্বলে কেন?
- দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?
- টেলিগ্রামেও ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’
- ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষকরা
- জ্বরে মুখের রুচি কমলে করণীয় কী
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক নেতাকর্মীদের ‘শেকড় অনেক গভীরে’
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ
- রক্ত দেয়া-নেয়ার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে সব কমিটি স্থগিত
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, ১১ দিন ৭ নির্দেশনা পুলিশের
- জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে? ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন উমামা
- দ্রুততম ৫ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মহেশ
- বিশ্বাস করবেন না, আল্লাহর দোহাই লাগে: সাদিয়া আয়মান
- শাকিব খানের ঈদের সিনেমাটি কালা জাহাঙ্গীরের জীবনী নির্ভর নয়
- মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেন তাসকিন
- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য নির্বাচিত হবেন পিআর পদ্ধতিতে
- ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের কীর্তি স্পর্শসহ ৫ রেকর্ড গড়লেন গিল
- ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য পাল্টালেন মাহফুজ