ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৭০

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন নিয়ম চালু হয় যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:৩৪ ৪ মে ২০২০  

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন। এখন এটি সবার কাছে খুবই পরিচিত শব্দ। প্রশাসনিকভাবে এ নিয়ম চালু হয়েছিল ১৪০০ শতকে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর মহামারী ব্ল্যাক ডেথের সময়।  ব্ল্যাক ডেথের মতো আলোচিত মহামারী আর নেই।

 

কৃষ্ণ সাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে মহামারি আকারে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এ কারণে এর নামকরণ হয় ব্ল্যাক ডেথ।

 

সে সময় ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য হতো এ কৃষ্ণ সাগর দিয়েই। আর এখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের জাহাজগুলোতে চড়ে বসত অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলো কিনা রোগের প্রধান জীবাণুবাহী।

 

এই মহামারীর কবলে পড়ে ১৪০০ শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৩৫০-৩৭৫ মিলিয়নে নেমে আসে। ১৭০০ শতক পর্যন্ত প্লেগ পরবর্তী সময়েও এই সংখ্যা আর পুনরুদ্ধার হয়নি।


এমনকি ’১৯ শতকেও এটি ইউরোপের কিছু কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছিল। এই মহামারী ইউরোপের ইতিহাসে ব্যাপক ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। ইউরোপে বেশ কয়েকটি সূত্রপাত হয়েছিল বলে মনে হয়।

 

১৩৪৭-৫১ খ্রিস্টাব্দ সময়কালই ছিল ব্ল্যাক ডেথের সবচেয়ে বিধ্বংসী সময়। এ সময় ইউরোপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল। সে সময় মহামারী থেকে বাঁচতে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রচলন শুরু হয়েছিল। যার ফলে মহামারীর প্রকোপ কমতে শুরু করে এবং এক সময় স্বাভাবিক হয়ে আসে সবকিছু।

 

এদিকে ব্ল্যাক ডেথের কারণ হিসেবে অনেকে ধারণা করেছিলেন, পাপের শাস্তি হিসেবে মানুষকে এ রোগ দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা।

 

ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালির মতো দেশগুলো ভুগছিল ভয়াবহ শ্রমিক সংকটে।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর