ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩২৭

ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায় ‘জেল হত্যাকাণ্ড’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:২৪ ৩ নভেম্বর ২০২১  

বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম জেল হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে বিনাবিচারে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

বুধবার সেই কলঙ্কিত দিন, জেল হত্যা দিবস।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র বর্বরোচিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতিহাসের আরেকটি বর্বর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে।

স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী, তার অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন সেই জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।


জাতীয় চার নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে এ কালো অধ্যায় স্মরণ করবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে ফুল দেয়া হবে। সেখানে ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা কামারুজ্জামানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

জেলহত্যা দিবসে আজ বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।