ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৬৮

আব্বাসের বাসায় মধ্যরাতে ভোট

ছাত্রদল সভাপতি খোকন, শ্যামল সম্পাদক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:২৫ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল। 

কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সংগঠনটির নতুন সভাপতি হলেন ফজলুর রহমান খোকন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হোসেন শ্যামল।

লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে আলোচনার পর বুধবার রাতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়িতে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়।

ষষ্ঠ কাউন্সিলে ৯ জন সভাপতি প্রার্থী এবং ১৯ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্য থেকে দুই পদে দুজনকে বেছে নিতে ভোট দেন ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক শাখার ৫৩৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮১ জন।

মধ্যরাতে ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা শেষে ভোরে ফল ঘোষণা করেন মির্জা আব্বাস। ছাত্রদলের এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনসহ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সভাপতি হয়েছেন খোকন। তিনি পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ভোট ১৭৮।

খোকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। ছাত্রদলের গত কমিটিতে গণশিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

সাধারণ সম্পাদক পদে শ্যামল পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিরুল ইসলাম পান ভোট ৭৪।

শ্যামল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফলে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন তারা।

ছাত্রদলের শীর্ষনেতা নির্বাচনে ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম ভোট হল। ওই কাউন্সিলে রুহুল কবির রিজভী সভাপতি এবং এম ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে কয়েক মাস পরই কমিটিটি ভেঙে দেয়া হয়।

ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আকরামুল হাসান।

শুরুতে ১৫৩ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন পর এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়, যাতে ৭৩৬ জনকে পদ দেয়া হয়েছিল।

গেল ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এবার বয়সের শর্ত যোগ করা হলে তা নিয়ে সংগঠনটির একাংশ প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নেমেছিল। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও ভাংচুর চালানো হয়। তখন কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয় ছাত্রদল থেকে। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।